রাজধানীর রাস্তায় কেউ লেন পদ্ধতি মানে না
ইসমাঈল হুসাইন ইমু : কেউই রাস্তায় লেন পদ্ধতি মানে না। যে যার মত আগে যেতে পারলেই হয়। বড় ট্রাক আর ছোট অটোরিকশা একযোগেই চলতে থাকে। আর এতে অনেক সময় দ্রুতগামী প্রাইভেটকার বা মাইক্রোবাস চালকরা পড়ছেন বিপাকে। পাশাপাশি মোটরবাইক চালকরাও দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন। এ অবস্থা দীর্ঘদিন ধরে চললেও ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের তেমন কোন উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না।
এদিকে রাজধানীর অনেক এলাকায় রাস্তায় লেনের দাগও মুছে গেছে। চালকের ইচ্ছে মতই চলছে যানবাহন। ট্রাফিক পুলিশের উদাসীনতায় অনেক সময় রিকশাও প্রথম লেনে চলাচলের সুযোগ নিচ্ছে।
জানা গেছে, অনেক হাঁকডাক দিয়ে ২০০৯ সালের ডিসেম্বরে তিন লেনে যানবাহন চলাচলের সিদ্ধান্ত নেয় পুলিশ। ওই সময় গুরুত্বপূর্ণ তিনটি রাস্তায় লেন পদ্ধতি মেনে যান চলাচলে বাধ্যও করা হয়। তবে সময়ের পরিক্রমায় লেন পদ্ধতির কথা ভুলে গেছে মানুষ। সেই সাথে পুলিশও ভুলে গেছে এই পদ্ধতি না মানলে শাস্তি দেওয়ার কথা।
এ ব্যাপারে ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার (ট্রাফিক) মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, আইন তো আছেই, কিন্তু অনেকেই তা মানছেন না। ট্রাফিক বিভাগকে এ ব্যাপারে নির্দেশনা দেয়া আছে। তবে বর্তমানে মোটরবাইক ৩ জন চলাচলসহ বিভিন্ন অনিয়মগুলোর বিষয়ে নজর দেয়া হচ্ছে। পাশাপাশি যেসব স্থানে লেনের দাগ স্পষ্ট রয়েছে, সেসব এলাকায় যানবাহন চালকদের লেন পদ্ধতি মেনে চলার জন্য বলা হচ্ছে।
জানা যায়, ২০০৯ সালের ১ ডিসেম্বর থেকে লেন পদ্ধতি মেনে চলার জন্য পুলিশ প্রচারণা শুরু করে। রাস্তার ডান পাশে থাকবে প্রথম লেন। মাঝখানে দ্বিতীয় লেন। বামপাশে থাকবে তৃতীয় লেন। প্রথম লেনে কার, মাইক্রোবাস, জিপ ও ভিআইপিদের গাড়ি চলবে। যেসব গাড়ি সামনে গিয়ে ডানে মোড় নেবে সেগুলো এই লেনে থাকবে। মাঝখানের দ্বিতীয় লেনে চলবে বাস, ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান। তৃতীয় লেনে অটোরিকশা, হিউম্যান হলার ও টেম্পো চলবে। যেসব গাড়ি সামনের ক্রসিংয়ে বাঁয়ে মোড় নেবে সেগুলো এই লেনে থাকবে। লেনে চলার সময় ওভারটেক করা নিষেধ। সম্পাদনা : গিয়াস উদ্দিন আহমেদ