রোহিঙ্গা ও শেকলবন্দী জাতিসংঘ
মিনা ফারহা
ভাত ভাগ করে খাওয়ার ঘোষণাটি শতাব্দীর সেরা উসকানিতে পরিণত হয়েছে। হাইকমান্ডের উদারতাকে রোহিঙ্গা বিতাড়নে ব্যবহার করছে হুন্তা এবং ভারতীয়রা। রোহিঙ্গাদের মধ্যে রবÑ চলো চলো বাংলাদেশ চলো। সুতরাং মানবতার ঘোষণাটি রীতিমতো অভিশাপে রূপ নিয়েছে। ঢল নামাচ্ছে হন্তারা, সাথে সাথে গণভবনে জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখে মানবতার মলমথেরাপি? প্রশ্ন, তারা কেন কিছু রোহিঙ্গা অন্য দেশে পাঠাচ্ছে না?
আরেকটি বিষয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারো সাথে যুদ্ধ নয়- সবার সঙ্গেই বন্ধুত্বের পররাষ্ট্রনীতি! তাহলে এত অস্ত্র কিনছে কেন? মূলত মধ্যপ্রাচ্যের শাসকেরা যা কেনে, সেগুলোই কিনে বহুবার হেডলাইন হয়েছে। ২৫৬ মিলিয়ন ডলারের দু’টি চীন-সাবমেরিন ক্রয়। ২০১৩ সালে রাশিয়ার সাথে এক বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র চুক্তি। ভারত এবং চীনের সাথেও রেকর্ড পরিমাণ অস্ত্র ক্রয়। তিন শক্তি মিলে ঋণে ডুবিয়ে অস্ত্র বিক্রির প্রতিযোগিতায় পাগলই হয়ে গেছে। প্রশ্ন, বন্ধুত্বের সংজ্ঞা কী? ১৯ বার আকাশসীমা লঙ্ঘনের পরেও শক্তি প্রদর্শনের বদলে যৌথ অভিযানের বাহানা কেন? শত্রুরা বন্ধু হলে- সাবমেরিন, যুদ্ধজাহাজ কিনল কেন?
আরাকানে ভারতপন্থী-চীনপন্থীদের ভূমিকা এত কম জানলে চলবে? ধমক খেয়ে নাটের গুরু নিত্যানন্দ জাতিসংঘ ইতোমধ্যে লুঙ্গি পাল্টেছে। ভেটো পাওয়ারদের চাঁদা এবং নির্দেশনার শেকলে বন্দী সংস্থাটি। যখন এরা প্রশংসায় নামে, বুঝতে হবে, ডালমে কুচ কালা হ্যায়।
লেখক : কলামিস্ট
সম্পদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ