বিএনপি নির্বাচনে না আসলে তো তাদেরকে জোর করে আনা যাবে না
ড. অনুপম সেন
সংবিধানে আছে যে, নির্বাচন হবে। নির্বাচন যখন হবার তখন হবে। ১৯৭০ সালে যখন নির্বাচন হয়েছিল, যার ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশ স্বাধীন হল, সেই নির্বাচনে বাংলাদেশের বামপন্থী দলসহ বড় বড় দল অংশগ্রহণ করেনি। তাই বলে কি নির্বাচন হয়নি? ১৯৭০ সালে ছয় দফা প্রত্যাখান করে অনেকেই নির্বাচনে অংশ নেয় নি। নির্বাচন সবার জন্য । যার ইচ্ছা হবে সে আসবে। বিএনপি না আসলে তাদেরকে তো জোর করে আনা যাবে না। এটা একটা দল। বিএনপি নির্বাচন না করলে না করতে পারে। কিন্তু তারা তো নির্বাচন প্রতিহত করার কথা বলতে পারে না। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে। তারা যদি নির্বাচন না করে, এটা তাদের দলের সিদ্ধান্ত। ইলেকশন কমিশনকে যে ক্ষমতা দেওয়া আছে, সংবিধানের আলোকে ইলেকশন কমিশন নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন করবে। সংবিধানে যেভাবে আছে সেভাবে হবে। সংবিধানের বাইরে তো কেউ যেতে পারবে না। ইলেকশনের সময় কেউ নিজের ইচ্ছে মতো কিছু করতে পারবে না। তাহলে তো সংবিধান বদলাতে হবে। আওয়ামী লীগ চাইলেও তো কোনো কিছু করতে পারবে না। আওয়ামী লীগকে নির্বাচন করতে হবে সংবিধান অনুযায়ী। সংবিধানে যা আছে তাই অনুসরণ করতে হবে। সংবিধানের বাইরে যাওয়ার ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের নেই। সংবিধানের মধ্য থেকে আপনি পরামর্শ নিতে পারেন। নানা দলের মতামত নিতে পারেন। যাই করবে, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনকে তা করতে হবে। নির্বাচন কমিশনকে বিশাল স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে। নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশন অনেক সিদ্ধান্ত নিতে পারে। তৎকালীন সরকারের ইচ্ছার দায় নিতে পারে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ট্রান্সফার করার অধিকার সংবিধান কমিশনকে দিয়েছে। নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে।
পরিচিতি : উপদেষ্টা ম-লীর সদস্য, আ. লীগ।
মতামত গ্রহণ : সানিম আহমেদ
সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ