‘বিএনপির সমাবেশ রাজনৈতিকভাবে ইতিবাচক ঘটনা’
ফাহিম ফয়সাল : বিএনপি ভালোভাবে সমাবেশ শেষ করেছে। এটা ভালো দিক। রাজনীতিগতভাবে এটা ইতিবাচক ঘটনা। একুশে টেলিভিশনের প্রধান সম্পাদক মনজুরুল আহসান বু লবুল বাংলাভিশনের সংবাদ পর্যালোচনামূলক ‘নিউজ এন্ড ভিউজ’ টকশোতে গত রোববার এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন পর বেগম খালেদা জিয়া সমাবেশ করলেন। প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য করলেন। এর মধ্যদিয়ে বিএনপি এক ধরনের উজ্জীবনী শক্তি পাবে। কর্মসূচি পালন করতে দিলে বিএনপি সহিংসতা করে, সন্ত্রাস করে। এই অভিযোগ তাদের বিরুদ্ধে আর দেওয়া যাবে না। পরিবহন মালিকদের মনে বা জনগণের মনে গাড়ি ভাঙচুরের যে ভয়ভীতি ছিল, সেটা অনেক কমে গেল।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন বলেন, আগামী নির্বাচন হবে খুব প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ। আমাদের দলকে শক্তভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে। এই কথা গণতন্ত্রের জন্য ইতিবাচক। দেশের সংকট নিয়ে যখন দুই নেত্রী একই সুরে কথা বলেন তখন এটা এক ধরনের জাতীয় ঐক্য। রোহিঙ্গা ইস্যুতে এক ধরনের ঐকমত্য আছে। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্যও তাদের ঐকমত্যে আসতে হবে।
টকশোতে বিডি নিউজ ২৪ ডমকমের সিনিয়র এডিটর আমানুল্লাহ কবীর বলেন, আওয়ামী লীগ আবারো পুরাতন খেলা খেলল, যাতে করে সমাবেশে লোকজন কম হয়। তারা বাস চলাচল বন্ধ রাখলো, একটা পর্যায়ে দূরপাল্লার ঢাকামুখী বাস বন্ধ রাখলো। ঢাকার ভেতরেও বাস চলাচল কম ছিল। রাজনীতিতে একটা কৌশলগত খেলা হবে মনে হচ্ছে।
আগামী নির্বাচনকে নিয়ে কঠিন একটা দর কষাকষি হবে। খালেদা জিয়া বলেছেন, শেখ হাসিনার অধীনে তারা নির্বাচনে যাবেন না। নির্বাচনে সেনা মোতায়েন করতে হবে। সেনাবাহিনীকে মেজিস্ট্রেসি পাওয়ার দিতে হবে। নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করা যাবে না। কিন্তু আওয়ামী লীগ এসবের বিপক্ষে। আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দুই দলই দুই মেরুতে অবস্থান করছে। এতে রাজনৈতিক মাঠ গরম হবে। আগামী নির্বাচন যদি সুষ্ঠুভাবে করতে হয়, তবে দুই দলকেই ছাড় দিতে হবে। দুই বড় রাজনৈতিক দলের সরাসরি সংলাপের মধ্য দিয়ে দুই পক্ষের বিরোধটা কমিয়ে আনতে হবে। তাদের একটা সমঝোতায় আসতে হবে। সম্পাদনা : গিয়াস উদ্দিন আহমেদ