আধুনিক সুবিধাসহ ডিসেম্বরে চালু হচ্ছে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার
নাফরুল হাসান : আধুনিক জীবনের নানা সুযোগ-সুবিধা নিয়ে ডিসেম্বরে চালু হতে যাচ্ছে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার। নির্মাণাধীন এই কারাগারে প্রায় দুই হাজার বন্দি থাকার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানায়, এই কারাগার চালু হলে সোয়া দুইশ বছরের আগে নির্মিত সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের বন্দিরা জরাজীর্ণ পরিবেশ থেকে মুক্তি পাবে। ১৭৮৯ সালে সিলেট শহরের কেন্দ্রস্থল ধোপাদিঘীর পাড়ে ২৪ দশমিক ৬৭ একর জমির ওপর নির্মাণ করা হয় সিলেট জেল। ১৯৯৭ সালে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে রূপান্তরের পর ধারণক্ষমতা দাঁড়ায় ১ হাজার ২১০ জনে। কিন্তু এখন বন্দির সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ। এ কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার এম এ জলিল বলেন, দুইশ জনের পানি আমাকে চারশ জনের মাঝে ভাগ করে দিতে হয়।
সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. লালা বলেন, বর্তমানে যে জায়গা আছে তা বন্দিদের জন্য অপ্রতুল। বন্দিদের অভিযোগ, জেলে খাওয়ার সমস্যা, গোসলের সমস্যা, ঘুমানোর জন্য জায়গা থাকে না। ২০১১ সালের আগস্টে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এবং তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন সিলেট নগরীর ১৫ কিলোমিটার দূরে সিলেট সদর উপজেলার বাদঘাটে ৩০ একর জমির ওপর অত্যাধুনিক সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এই স্থাপনা সম্পর্কে গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ মিজানুর রহমান বলেন, আমরা আশা করি ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ হবে। এই লক্ষে দ্রুত কাজ চলছে।
নির্মাণাধীন কারাগারে সুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট, একশ শয্যার পাঁচতলা বিশিষ্ট হাসপাতাল, ২০ শয্যার মানসিক হাসপাতাল, ২৫ শয্যার টিবি হাসপাতাল, স্কুল ও লাইব্রেরি ভবন ছাড়াও কর্মকর্তা-কর্মকর্তাদের জন্য ১৩০টি ফ্ল্যাট রয়েছে। সূত্র : সময় টিভি। সম্পাদনা : হাসিবুল ফারুক চৌধুরী