বিচারপতি জয়নুলের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে বাধা নেই কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয় : হাইকোর্ট
এস এম নূর মোহাম্মদ : আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি মো. জয়নুল আবেদীনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তদন্ত করতে কোনো বাধা নেই। আর তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা সমীচীন হবে না দুদকে দেওয়া সুপ্রিম কোর্টের এমন চিঠির মতামত সুপ্রিম কোর্টের নয় বলেও রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ বিষয়ে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে সাত দফা পর্যবেক্ষণ দিয়ে গতকাল মঙ্গলবার রায় দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের বেঞ্চ ওই রায় ঘোষণা করেন।
আদালত বলেন, দুদককে দেওয়া ওই চিঠি আপিল বিভাগের প্রশাসনিক। এটা সুপ্রিম কোর্টের মতামত নয়। এ চিঠি নিয়ে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হতে পারে। মনে হবে জজরা আইনের উর্দ্ধে। তবে কেউ আইনের উর্দ্ধে নন, একমাত্র রাষ্ট্রপতি ছাড়া। আর রাষ্ট্রপতি শুধুমাত্র তার পদে বহাল থাকাবস্থায় এ দায়মুক্তি পাবেন। তবে সাত বছরেও দুদকের ওই অনুসন্ধান শেষ না হওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করে রায়ে বলা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারকদের বিরুদ্ধে তদন্তের ক্ষেত্রে সতর্ক হতে হবে। যাতে তাদের মর্যাদাহানী না হয় বা অকারণে হয়রানির শিকার হতে না হয়। কেননা এরসঙ্গে বিচার বিভাগের মর্যাদা জড়িত। এছাড়া সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া চিঠি দেশের সর্বোচ্চ আদালতের মর্যাদা ও ভাবমূর্তি খর্ব করেছে বলেও পর্যবেক্ষণে উল্লেখ করা হয়।
আদালত রায়ে বলেন, এটা বিবেচনার বিষয় যে, ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন প্রয়োজনীয় কাগজপত্র বা তথ্য দুদককে সরবরাহ করেছে। দুদক অনুসন্ধান প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখেছে। এ অবস্থায় পর্যবেক্ষণ দিয়ে রুলটি নিষ্পত্তি করা হলো।
এদিকে বিচারপতি জয়নুল আবেদীনের আইনজীবী ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, এ রায়কে ইতিবাচক হিসেবে দেখছি। একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারকের বিরুদ্ধে সাত বছরেও অনুসন্ধান কার্যক্রম সম্পন্ন করতে না পারায় দুদকের সমালোচনা করেছেন আদালত। এছাড়া সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি জয়নুল আবেদীন বলেন, এ রায়ের ফলে অনেক বিতর্কের অবসান হবে। এ রায় অত্যন্ত ভাল রায়।