নগরীর ৫০০ স্থানে পার্কিং জোন
আহমেদ রাজু : রাজধানীর যেখানে-সেখানে আর গাড়ি পার্কিং করা যাবে না। পার্কিং করার জন্য ৫০০ খালি জায়গা নির্ধারণ করা হচ্ছে। পার্কিং জোন ছাড়া অন্য কোথাও গাড়ি রাখলেই গুণতে হবে জরিমানা। খুব শিগগিরই এ নির্দেশনা আসতে পারে। নগরীর যানজট নিরসনে গঠিত সমন্বয় কমিটি এমন কথাই ভাবছে।
পরিচ্ছন্ন, পরিকল্পিত ও যানজটমুক্ত নগরী গড়ে তুলতেই সরকার ছাব্বিশটি সেবাসংস্থাকে নিয়ে একটি সমন্বয় কমিটি গঠন করেছে। কমিটির প্রধান দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন। কমিটি সংস্থাগুলোর সঙ্গে আলাদা বৈঠক করে করণীয় নির্ধারণ করবে। এরই মধ্যে কমিটির দুটি বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে অনেক সুপারিশ ও পরামর্শ এসেছে। কমিটির সভায় নগরীর রাস্তা থেকে অবৈধ ও ফিটনেসহীন গাড়ি চলাচল বন্ধের সুপারিশ করা হয়েছে। নির্ধারিত স্টপেজ ছাড়া থামানো যাবে না। রাস্তার মাঝখান থেকে তোলা যাবে না যাত্রীও। এমন পরামর্শও এসেছে। কয়েক দিনের মধ্যেই আবারোও ফিটনেসহীন গাড়ির বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর ঘোষণা দিয়েছেন মেয়র সাঈদ খোকন। সমন্বয় কমিটির দ্বিতীয় সভায় তিনি বলেছেন, ‘আগে আমরা যে অভিযান করেছিলাম, তাতে নগরীর যানজট ১৫ থেকে ২০ ভাগ কমে গিয়ে ছিলো।’ তাই বিআরটিএ ও ডিএসসিসির যৌথ উদ্যোগে অভিযান শুরু করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
নগরীর রাস্তায় গাড়ি পার্কিং বন্ধ করার সুপারিশ করা হয়েছে কমিটির সভায়। গাড়ি কোথায় পার্কিং করা হবে, তা বের করতে সংস্থাগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সমন্বয় কমিটির অন্যতম সদস্য রাজউকের চেয়ারম্যান আবদুর রহমান বলেছেন, ‘নগরীতে বিভিন্ন সরকারি সংস্থার কম-বেশি পাঁচশ ফাঁকা জায়গা আমরা খুঁজে বের করেছি। সেখানে গাড়ি রাখলে নগরীতে যানজট হবে না।’ নির্ধারিত স্থানের বাইরে গাড়ি রাখলেই ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।
প্রকাশ্য রাস্তায় গাড়ি রাখলে ট্রাফিক আইনের ১৫৭ ধারায় ৫০০ টাকা জরিমানার বিধান আছে। তাই নির্ধারিত স্থান ছাড়া অন্য কোথাও গাড়ি রাখলে কোন আইনে ব্যবস্থা নেয়া হবে, তা-ও ভাবছে কমিটি। প্রয়োজনে কমিটি আইন সংশোধনেরও পরামর্শ দেবে বলে জানা গেছে।
সমন্বয় কমিটির সুপারিশ সরকারের কাছে জমা দেয়ার পর সেগুলো বাস্তবায়নে পলিসি নির্ধারণ করা হবে। কিছু কাজ সংস্থাগুলো নিজেই করে ফেলতে পারবে। আর এমন কিছু কাজ আছে, তা বাস্তবায়ন করতে সরকারের নির্বাহী আদেশ জারি করার অনুরোধ জানাবে সমন্বয় কমিটি। কমিটির এক সদস্য এটি নিশ্চিত করেছেন।