দুটি নিম গাছে ৫ সদস্য পরিবারের সারাবছরের ভরণ-পোষণ
মতিনুজ্জামান মিটু : ১০ বছরের দুটি নিম গাছের পাতা ও বীজ বিক্রি করে ৫ সদস্যের একটি পরিবারের সারাবছরের ভরণ-পোষণ সম্ভব। কৃষি তথ্য সার্ভিসের পরিচালক কৃষিবিদ ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, নিমের গুণাগুণের কথা বিবেচনা করেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নিমকে একুশ শতকের বৃক্ষ বলে ঘোষণা করেছে। নিমের পাতা থেকে বাকল, শিকড় থেকে ফুল, ফল থেকে বীজ সবগুলোই আবশ্যকীয়ভাবে কাজে লাগে। নিম একটি পবিত্র বৃক্ষ ও আমাদের দেশীয় গাছ। পৃথিবীর অনেক বিখ্যাত মণীষীর জীবনের সঙ্গে নিম জড়িত। নিম পরিবেশ রক্ষা, দারিদ্র্যবিমোচন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে ব্যাপক অবদান রাখে। নিম ওষুধ, জৈবসার, কীটবিতাড়ক উপাদান, প্রাকৃতিক প্রসাধনী, রূপচর্চাসহ বিভিন্ন কাজে লাগে। এছাড়া নিম কৃষিতে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। নিম কাঠে ঘুন ধরে না। নিমের আসবাবপত্র ব্যবহারে ত্বকের ক্যান্সার হয় না। নিম পানির স্তর ধরে রাখে, শীতল ছায়া দেয় ও ভাইরাসরোধী। নিম নদীর ভাঙন ঠেকায়, মাটির লবণাক্ততা রোধ করে এবং অম্ল ও ক্ষারের সমতা ফেরায়। নিম শিল্প বিপ্লবের দূষণ নিয়ন্ত্রণ করে, ঝড়ঝঞ্জা থেকে রক্ষা করে। নিম পরিবেশবান্ধব ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় অদ্বিতীয়।
নিমের গুণাগুণের কথা জানিয়ে বছরব্যাপী ফল উৎপাদনের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন প্রকল্পের উপ-প্রকল্প পরিচালক মো. নূরুল ইসলাম বলেন, নিম বাতাসকে জীবাণু মুক্ত রাখে। দেশের গ্রামীণ ২ কোটি পরিবারের বাড়ির আঙিনায় ২টি করে নিম গাছ সহজেই লাগানো যায়। এতে বহু মানুষের কর্মসংস্থানসহ নানাভাবে দেশের মানুষ উপকৃত হতে পারে। বর্তমানে উদ্বুদ্ধকরণ ছাড়া নিমের ওপর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের কোনো প্রকল্প নেই। সম্পাদনা : গিয়াস উদ্দিন আহমেদ