‘ইভিএম ব্যবহার করলে নির্বাচন কমিশনের কাজ স্বচ্ছ হবে’
আহমেদ জাফর : বিশ্বের বহুদেশে ইভিএম পদ্ধতির ব্যবহার আছে। বাংলাদেশেও কিছু নির্বাচনীয় এলাকায় পরীক্ষামূলক ভাবে ব্যবহার করা হয়েছে। ১৫ দিনে ১০কোটি ব্যালট পেপার ছাপিয়ে সারা দেশে পাঠানো নির্বাচন কমিশনের জন্য খুব কঠিন। ইভিএম ব্যবহার করলে নির্বাচন কমিশন খুব সহজে কাজ করতে পারবে। গতকাল রাত ১০টায় ডিবিসি নিউজ টকশো অনুষ্ঠানে, সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রি. জে. (অবঃ) এম সাখাওয়াত হোসেন এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন এটাতে ঝামেলা নাই। এটি একটি স্বচ্ছ পদ্ধতি। বিশ্বের সাথে তুলনা না করে, দেখতে হবে বাংলাদেশ কোন পদ্ধতি ব্যবহার করে। ইভিএম ব্যবহারে ভোট কারচুপির অভিযোগ কম আসবে। ভোটাররা সচেতন হলেই সবকিছু করা সম্ভব। বর্তমান সরকার এ বিষয় নিয়ে আগাম বলার কারণে জনগণ সমস্যা মনে করেছে।
ফেমা প্রেন্সিডেন্ট মুনিরা খান বলেন, বিশ্বের বহুদেশে ইভিএম পদ্ধতি থেকে সরে আসছে। এ দেশের মানুষের ইভিএম ব্যবহার সম্পর্কে সবার ধারণা নেই। এ পদ্ধতি ব্যবহারের সুবিধা আছে, আবার কিছু অসুবিধাও আছে। এ মেশিন যারা তৈরি করছে, তারা সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে। বেশি বৃষ্টি হলে মেশিনের মধ্যে থাক ডকুমেন্ট অকার্যকর হওয়ার সম্ভবনা আছে। বাংলাদেশেও ব্যবহার করার সময় সমস্যা হয়েছিল। এজন্য দক্ষ্য লোক পাওয়া কষ্টসাধ্য হবে। নির্বাচন কমিশনের পক্ষে ব্যবহার করা সম্ভব কিনা তারা যাচাই বাছাই করে দেখবে। নির্বাচন কমিশনের উপর বিশ্বাস রাখতে হবে। সরকারের জন্য এটা খুব ব্যয়বহুল হবে।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক মাহফুজুল ইসলাম বলেন নির্বাচনে যেসব দুনীতি হয় তার মধ্যে জালভোট অন্যতম। এ পদ্ধতি ব্যবহার করলে কেউ জালভোট দিতে পারবে না। বর্তমানে ইভিএম ব্যবহার করার জন্য আরো অধুনিক করা হচ্ছে। ইভিএম মানে তার ফিঙ্গার প্রিন্টের মাধ্যমে ভোট দেয়া। উন্নত বিশের কথা বলা ঠিক হবে না। তারা করবে না বলে কি অন্যদেশ করবে না? উন্নত বিশ্বে যারা কাজ করেন তারাতো বিশ্বের তৃতীয় দেশ থেকে যেয়ে কাজ করছে। এ মেশিন দিয়ে জালিয়াতি করার সুযোগ হবেনা। এটা বার বার তৈরি করতে হবে না। এজন্য তুলনামূলক ব্যালট পেপার থেকে খরচ কম হবে।