সরকারের সদিচ্ছার অভাবেই কোনো হামলার বিচার হয় না : গোবিন্দ চন্দ্র প্রামানিক
তাসকিনা ইয়াসমিন : এই সরকারের সময়ে সংখ্যালঘু নির্যাতনসহ কয়েক হাজার ঘটনা ঘটেছে কিন্তু কোনো ঘটনারই বিচার হয়নি। এর প্রধান কারণ সরকারের সদিচ্ছার অভাব। এই প্রতিবেদককে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে একথা বলেন বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের সাধারণ সম্পাদক গোবিন্দ্র চন্দ্র প্রামানিক। তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জের স্কুল শিক্ষক শ্যামল চন্দ্রকে লাঞ্ছনা করা হয়েছে। কাউকে স্কুল থেকে তাড়ানোর জন্য তার বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ এনে শাস্তি দেয়া হয়েছে কিন্তু এই ঘটনাগুলোর কোনো বিচার হয়নি। কারণ এর সঙ্গে সরকারি দলের লোকজন জড়িত ছিল। তিনি বলেন, আমরা আজ শুক্রবার, ১৭ নভেম্বর রংপুরসহ সারাদেশে সবগুলো হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করব। ঢাকা শহরে এটি জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া ৬৪টি জেলার জাতীয় প্রেসক্লাব বা সুবিধাজনক স্থানে আমাদের সংগঠনের সদস্যরা মানববন্ধনে যোগদান করবে। ইতোমধ্যে পুলিশসহ ফরেনসিক বিভাগের অন্যরা তদন্ত করে বের করেছে, যে আইডি থেকে টিটু রায় ধর্ম অবমাননামূলক পোস্ট দিয়েছে বলা হচ্ছে সেটা ফেক আইডি। খুলনার একজন ইমাম সাহেব এই ফেক আইডিতে এই পোস্ট করেছিলেন। তাকে গ্রেফতার না করে পুলিশ টিটু রায়কে গ্রেফতার করেছে। আমরা টিটু রায়ের নিঃশর্ত মুক্তি চাই। আমরা টিটু রায়কে গ্রেফতারের নিন্দা জানাই। একইসঙ্গে প্রকৃত দোষী ব্যক্তিদের পুলিশ গ্রেফতার করুক এটা চাই। আমরা শুনেছি সরকার দলীয় একজন আওয়ামী লীগ নেতা রংপুরে হামলার আগে উস্কানিমূলক বক্তব্য রেখেছে। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানাই। সরকারদলীয় নেতারা রাজনৈতিক ফায়দা লুটার জন্য এইসব সাম্প্রদায়িক হামলা চালায় বলে আমরা মনে করি। অতীতে আমরা দেখেছি নিজেদের সুযোগ কাজে লাগাবার জন্য ধর্মীয় অবমাননার কথা বলে রাউজান, ফটিকছড়িতে হামলা চালানো হয়েছে। সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ ছড়াতে সরকারি দলও ভূমিকা পালন করছে। সামনে যে নির্বাচন সেই নির্বাচনে এই হামলাগুলোকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছে। তারা বলবে যে দেখ বিএনপি জামায়াত তোমাদের উপর হামলা করছে। আমরা তোমাদের রক্ষা করব। সারাদেশে ধর্মীয় অবমাননার নামে এই হামলাগুলোর পিছনে উচ্ছেদ করে দিয়ে জমি দখল, হিন্দুদের ভোটব্যাংক হিসেবে ব্যবহার এবং বিএনপি-জামায়াত খারাপ এই বিষয়টি প্রচার করার উদ্দেশ্য রয়েছে। আমরা বর্তমান সরকারি দলের এমন আচরণে ভীত হয়ে পড়েছি। কারণ, এই হামলাগুলোর পিছনে সরকারি দলের লোকজন জড়িত। সম্পাদনা : মোহাম্মদ রকিব হোসেন