ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের তথ্য সংগ্রহ করবে সরকার
তরিকুল ইসলাম সুমন : বিদেশি কারিকুলামে পরিচালিত ইংরেজি মাধ্যম স্কুলগুলোর তথ্য সংগ্রহের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি)। নিয়মিত তথ্য আদান-প্রদানের মাধ্যমে স্কুলগুলোকে বাংলাদেশের মূলধারার শিক্ষাব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত করতে এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মাউশির পরিচালক (স্কুল) অধ্যাপক ড. আবদুল মান্নান সরকার।
তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন, সরকারের সঙ্গে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলগুলোর প্রশাসনিক সমন্বয় স্থাপনের অংশ হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ স্কুল প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করেছে মাউশি। বৈঠকে উপস্থিত প্রতিনিধিরা সবাই চাচ্ছেন সরকারের সঙ্গে তাদের সমন্বয় তৈরি করতে। শিগগিরই তাদের সঙ্গে আরও একটি ওয়ার্কশপ করা হবে। সেখানে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
মাউশি সূত্র জানায়, ইংরেজি মাধ্যম স্কুল পরিচালনার গেজেট, বিধি-বিধান, সিলেবাস, কারিকুলাম, পরিচালনা পর্ষদ ও নীতি-নৈতিকতা, ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের নির্দিষ্ট কারিকুলামের বাইরে বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস ও বাংলা ভাষার পাঠ্যবই পড়ানোসহ নানা বিষয় আলোচনায় হবে।
ইংরেজি মাধ্যম সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ছাত্র-ছাত্রীদের নৈতিকতা ও মূল্যবোধ শেখানো হয়, জঙ্গিবাদবিরোধী কোনো কর্মকা- পরিচালনা হয় না। দেশের সবগুলো জাতীয় দিবস উদযাপন করা হয়। শিক্ষার্থীদের সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদসহ নানা অপকর্মের কুফল সম্পর্কে ধারণা দেয়া হয়। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) নির্দেশের অংশ হিসেবে সব ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে সততা স্টোর চালু করা হয়েছে। যাতে নতুন প্রজন্ম সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠে এবং অল্পবয়স থেকেই দুর্নীতি বিরোধী নৈতিকতায় উদ্বুদ্ধ হয়। কোনো বিক্রেতা ছাড়াই সততা স্টোর থেকে শিক্ষার্থীরা তাদের প্রয়োজনীয় বই, খাতা, পেন্সিল কিনছেন। ছাত্রছাত্রীরা নিজেদের পছন্দমতো প্রয়োজনীয় পণ্য কিনে ক্যাশ বাক্সে দাম রেখে যাচ্ছে।
অধ্যাপক ড. আবদুল মান্নান সরকার আরো বলেন, ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের তথ্য আদান-প্রদানের অর্থ তাদের মনিটরিং করা নয়। বরং তাদের সঙ্গে আমাদের সুসম্পর্ক স্থাপন করাই অন্যতম লক্ষ্য।
উল্লেখ্য, ইংলিশ মিডিয়াস স্কুলগুলো কি শেখাচ্ছে, কারা শিক্ষক, কত টিউশন ফি তা সঠিকভাবে জানে না কোনো মন্ত্রণালয় বা সরকারের কোনো সংস্থা। অথচ এখানে যারা পড়াশোনা করছে, তাদের অধিকাংশই বাংলাদেশি। স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগ রয়েছে। এ সত্যতা পাওয়ায় বেশ কয়েকটি স্কুলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নিয়েছে সরকার। সম্পাদনা : গিয়াস উদ্দিন আহমেদ