রংপুরের ঘটনার পিছনে রাষ্ট্রীয় মদদ রয়েছে : রিজভী
কিরণ সেখ: ধর্মীয় অবমাননার কথিত অভিযোগে রংপুরে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা ও বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনার পিছনে রাষ্ট্রীয় মদদ রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
গতকাল রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন। রিজভী বলেন, গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে রংপুরে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা ও বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। রাষ্ট্রীয় মদদ না থাকলে এই ঘটনা ঘটতো না। সুতরাং এটা কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। বিশেষ নীলনকশায় এই কাজ করা হয়েছে।
আমি তার বক্তব্যে ধর্তব্যে নেই না- প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা করে তিনি বলেন, উনার (প্রধানমন্ত্রী) গোপালিশ বাংলাতে কথা বলার অভ্যাসকে কিছুটা কাটানোর জন্য দু’একটি তৎসম শব্দ শিখতে ও তা প্রয়োগ করতে শুরু করেছেন। সব দেশেই নিলজ্জ স্বৈরাচার সরকার গণতন্ত্রে বহুমতের চর্চাকে ধর্তব্যে নেয় না। যদি আমলে নিতো তাহলে গণতন্ত্র রুগ্ন হয়ে পড়তো না। শেখ হাসিনা অগ্রগামী মানবসভ্যতা বিরোধী সেই সকল স্বৈরশাসকদেরই একজন এবং এক অভিনব সংস্করণ- বলেন রিজভী।
রোহিঙ্গাদেরকে মানবিক সহায়তা নয়, ত্রাণের নামে শোডাউন ছিল বিএনপির- প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যে উল্লেখ করে বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, গত ২৫ আগষ্ট বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের ঢল যখন শুরু হলো, তখন কিন্তু আপনি (প্রধানমন্ত্রী) অসহায় রোহিঙ্গাদেরকে বাংলাদেশে ঢুকতে দেননি। আপনি কি এগুলো বেমালুম ভুলে গেছেন? এগুলো কোন ধরনের মানবিক সহায়তা তা জনগণ প্রধানমন্ত্রীর নিকট থেকে জানতে চায়। আপনার এই ভূমিকার জন্য কি আপনাকে মাদার অব হিউম্যানিটি বলবো না কি লেডি ফেরাউন বলবো- প্রশ্ন রাখেন রিজভী।
এসময় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আদালতে হাজিরা দিতে যাবার সময় দলের নেতাকর্মীকে পুলিশ বিনা উস্কানীতে তাদের ওপর হামলা ও গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা এবং মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে নি:শর্ত মুক্তির জোর দাবি জানান তিনি। সম্পাদনা : শাহানুজ্জামান টিটু