দেশ ছাড়ার পরিকল্পনা করে সংখ্যালঘুদের উপর হামলা করে
আহমেদ জাফর : দেশ ছাড়ার পরিকল্পনা করে সংখ্যালঘুদের উপর হামলা করে, শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার চেষ্টা করছে সরকার। স¦াধীন দেশে জন্ম নিয়ে স্বাধীনভাবে বসবাস করতে পারছে না। রামুতে হামলার পর বিশ্বের চাপের কারণে রাজনৈতিক দলগুলো সেখানে গিয়েছিলেন। গত বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় ডিবিসি নিউজ টকশো অনুষ্ঠানে গণফোরাম নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, সরকার ঘোষণা দেয় বাংলাদেশে সন্ত্রাসী হামলায় জিরো টলারেন্সের। কিন্তু তারপরও একের পর এক হামলা চলছে। বর্তমান সরকার এ হামলার বিরুদ্ধে কঠোর আবস্থান নিলেও এখন কিছু বলে না। একসময় ভাবা হতো মৌলাবাদীরা এ হামলা করে। কিন্তু তাদেরকে দমিয়ে রাখার পার কারা করে। হামলা হলে বিএনপি জামায়াতকে দায়ী করা হয়। এতে আসল আসামীরা পার পেয়ে যায়। হামলায় স্বীকার হলে সরকার ঘড়বাড়ি তৈরি করে দেয়। এতে মনের ক্ষত দূর হয় না।
বাংলাদেশের আওয়ামী লীগের সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে মুসলিম ,হিন্দু , খ্রীঃ বৌদ্ধ সবার রক্তের বিনিময়ে। তখন কোনো ধর্ম নিয়ে আলোচনা ছিলো না। আজ কেনো সংখ্যালঘুদের উপর হামলা হবে। হামলা হলে মূল অপরাধীকে না ধরে দেশের সাধারণ মানুষের উপর দোষ চাপিয়ে দেয়া হয়। মূল আসামীরা পার পেয়ে যাচ্ছে। সঠিকভাবে তদন্ত করে বিচার করা উচিত। প্রশাসনের কার্যক্রম গুলো আরো ত্বরানিত করা দরকার। হামলার সাথে যারা জড়িত তাদেরকে খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সবার উজ্জীবিত হওয়া দরকার। রাজনৈতিকভাবে আওয়ামী লীগের উপর সকল দায় চাপিয়ে দেয়া ঠিক না।
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়–য়া বলেন, ধর্মীয় পরিচয় দিয়ে কাউকে আলাদা করা উচিত না। বার বার ধর্মীয়ভাবে আঘাত করা হচ্ছে। ধর্ম যার যার রাষ্ট্র সবার। আইন দিয়ে সবকিছু করা সম্ভব না। এ হামলা সচেতন সমাজকে ভাবিয়ে তুলে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসীদল হলে হামলা হবে না। এ ধারণা থেকে বের হয়ে আসা উচিত। দেশে রাজনৈতিক আদর্শ থাকলে এসব ঘটনা ঘটত না। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী শুধু বলার মধ্যে সীমা থাকে। হামলা হলে বিএনপি জামাতকে দোষী করে। এ হামলা করা হয় রাজনৈতিক দলীয় উদ্দেশ্যে ও প্রতি হিংষায়। সম্পাদনা : ফাতেমা আহমেদ