শিক্ষার্থীদের জীবন হুমকির মুখে পড়ে এমন সিদ্ধান্ত সরকারকে ভেবে-চিন্তে নিতে হবে
ড. অজয় রায়
আইন না মানা ৪৯টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আগামি ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে স্থায়ী ক্যাম্পাসে না গেলে তাদের বেশিরভাগ জানুয়ারি থেকে আর নতুন ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি করতে পারবে না। শিক্ষা মন্ত্রনালয় যে এব্যাপারে আলটিমেটাম দিয়েছে তা যথার্থই দিয়েছে। সরকারের এই সিদ্ধান্তের দুটি দিক আছে। আমরা দেখেছি, সরকার এর আগেও বার বার এধরনের আলটিমেটাম দিয়েছে কিন্তু কোনো কাজে আসেনি। সরকারের এ সিদ্ধান্ত সময়ের দাবি এবং বাস্তব সম্মত। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় যেভাবে ঢাকা শহরে বিশৃঙ্খলার সাথে রাজত্ব করছে, যেখানে-সেখানে, যখন-তখন ব্যাঙের ছাতার মতো মাথা উচু করে দাড়িয়ে যাচ্ছে, দেখে মনে হচ্ছে যেমন খুশি তেমন সাজো প্রতিযোগিতায় নেমেছে। কোনো নিয়ম নীতির তোয়াক্কা করছে না। যার ফলে নাগরিক জীবন যাত্রায় নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। একটা গণতান্ত্রিক সভ্য দেশে এমনটা চলতে পারে না। সরকার যেহেতু নিজেই কঠিন হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা সমর্থনযোগ্য। অন্যদিকে শিক্ষার্থীদের দিকে তাকালে ভিন্ন অনুভূতি হয়। আগামি বছর নতুন করে যে সকল ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি হতে চায়, তাদের জন্য এই সিদ্ধান্ত নেতিবাচক। তারা বড় ধরনের সমস্যা মোকাবেলার মধ্যে পড়ে যাবে। শিক্ষাজীবন ব্যাহত হতে পারে। তাই বলছি, শিক্ষার্থীদের জীবন হুমকির মুখে পড়ে এমন ধরনের সিদ্ধান্ত সরকারকে ভেবে-চিন্তে নিতে হবে। বেশিরভাগ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ঢাকা শহরে কিন্তু শিক্ষার্থী আসছে বাংলাদেশের সকল জায়গা থেকে। সেজন্য ঢাকা শহরের যেখানে সেখানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা এসকল বিশ্ববিদ্যালয় দেশের বিভাগীয় শহরগুলোতে স্থানান্তর করে এই সমস্যা সমাধান করা সম্ভব। এর ফলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষেরও খরচ কমে যাবে এবং একই সাথে রাজধানীর উপর থেকে অধিক জনসংখার চাপ কমে আসবে।
পরিচিতি : শিক্ষাবিদ
মতামত গ্রহন : লিয়ন মীর
সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ