ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে সেন্টমার্টিন জেটি, ধসেপড়ার আশঙ্কা
ফরহাদ আমিন, টেকনাফ (কক্সবাজার) : কক্সবাজার জেলার দেশের অন্যতম পর্যটন এলাকা টেকনাফের সেন্টমার্টিন জেটির বেহাল দশা। দীর্ঘদিন এই জেটির সংস্কার ও উন্নয়নে কোনো পদক্ষেপ নেই। অযতœ, অবহেলায় পড়ে আসে সেন্টমার্টিনের জেটি।
সেন্টর্মাটিন ট্রলার মালিক সমিটির সভাপতি রশিদ আহাম্মদ জানান,জেটিতে গাছেরখুঁটি বেঁধে আপাতত পযটক চলাচল করছে। সেন্টমার্টিন জেটিকেন্দ্রিক সরকার কোটি টাকা রাজস্ব পাচ্ছে। ব্যবসা করছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। আসছে পর্যটকবাহী জাহাজ। স্থানীয়রা জানায়, এই জেটিতে দৈনিক পাঁচটি জাহাজ ভেড়ানো হয়। প্রতি জাহাজে অন্তত ৩০০ যাত্রী থাকে। পর্যটন মৌসুমে প্রতি জাহাজের যাত্রী বাড়ে দ্বিগুণের চেয়ে বেশী। এমন অবস্থায় দ্বীপের একমাত্র জেটিটি সংস্কার করা না হলে বহু হতাহতের ঘটনা ঘটতে পারে। এলজিইডির তত্ত্বাবধানে প্রায় চার কোটি টাকা ব্যয়ে ২০০২-০৩ অর্থবছরে এই জেটি নির্মাণ করা হয়। ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর ঘূর্ণিঝড় সিডরের আঘাতে সেন্টমার্টিনের জেটির তিনটি গার্ডার ও রেলিং ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এখনো গার্ডার ও রেলিং সংস্কার করা হয়নি। সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নূর আহমদ বলেন, সিডরের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত জেটি দিয়ে জাহাজে ওঠানামার সময় পর্যটকরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। এটি দ্রুত সংস্কারের ব্যবস্থা করার দাবি জানান তিনি। সম্পাদনা : মুরাদ হাসান