ফ্রান্স, লেবানন ও হারিরি পরিবারের মধ্যে সম্পর্ক গভীর
কামরুল আহসান : ৪ নভেম্বর লেবাননের প্রধানমন্ত্রী সাদ হারিরি সৌদি আরব গিয়ে পদত্যাগ করেছেন। গুজবে প্রকাশ সৌদি সরকার তাকে জোর করে পদত্যাগ করতে বাধ্য করিয়েছে। ১২ দিন গত হয়ে গেলেও তিনি দেশে ফিরতে পারেননি। লেবানন কর্তৃপক্ষ সন্দেহ করছে তাকে সৌদিকে আটকে রাখা হয়েছে। এ নিয়ে দারুণ সংকটজন পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এ সমস্যা সমাধানে হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ফ্রান্স। ফ্রান্সের পররাষ্ট্র মন্ত্রী জ্যাঁ-ইভ লুদরিও সৌদি গিয়ে যুবরাজ সালমান এবং সাদ হারিরির সঙ্গে সাক্ষাত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ইমানুয়েল ম্যাঁক্রো তাকে ফ্রান্সে যাওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। সাদা হারিরিও জানিয়েছেন তিনি খুব শীঘ্রই ফ্রান্সে যাবেন ম্যাঁক্রোর সঙ্গে সাক্ষাত করার জন্য।
ফ্রান্সের সঙ্গে লেবাননের গভীর সম্পর্ক ষোড়শ শতাব্দী থেকে। ১৯৪৩ সাল পর্যন্ত লেবানন ছিল ফ্রান্সের উপনিবেশ। ফ্রান্সের বেঁধে দেয়া আইন অনুসারেই এখনো লেবাননের রাজনীতি বহু অংশে পরিচালিত হয়। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট বাধ্যতামূলকভাবে খ্রিস্টান হবে এবং প্রধানমন্ত্রী হতে হবে সুন্নি মুসলমান তা ফ্রান্সেরই বেঁধে দেয়া আইন। তবে এ কারণেই যে ম্যাঁক্রো এখন সাদ হারিরির দিকে সহযোগিতার হাত বাড়াচ্ছে তা নয়। এর পেছনে আরো অনেক কারণ রয়েছে। একটি কারণ, যুক্তরাষ্ট্র এখন মধ্যপ্রাচ্য থেকে প্রায় সরে পড়ছে, পশ্চিমার শক্তির অন্যতম অংশীদার যুক্তরাজ্যও এখন ব্যস্ত ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার জটির প্রক্রিয়া নিয়ে। এ সুযোগে মধ্যপ্রাচ্যে নিজেদের ক্ষমতা বিস্তার করতে চাচ্ছে ফ্রান্স। তবে এও প্রধান কারণ নয়। আরো গুরুত্বপূর্ণ কারণ হচ্ছে ফ্রান্সে এক সময় সাদ হারিরির বাবা রফিক হারিরির বিশাল ব্যবসা ছিল। ফ্রান্সের বৃহৎ ব্যবসায়িক সম্প্রদায় এবং রাজনৈতিক পরিবারের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক এখনো বেশ ভালো। সব মিলিয়ে ফ্রান্সই এখন লেবানন কিংবা সাদ হারিরির প্রধান মিত্র। ফ্রান্স ২৪