সতর্ক হলে রংপুরে হিন্দুদের ওপর হামলাটি এড়ানো যেত : এইচটি ইমাম
ফারমিনা তাসলিম : রংপুরে হিন্দুদের ওপর হামলাটি পরিকল্পিত ছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। ফেসবুকে কথিত স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে ঠাকুরপাড়া গ্রামে হিন্দুদের বাড়িতে লুটপাট হয়েছে। এসময় পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারায় এক ব্যক্তি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে সম্প্রতি বাংলাদেশের রংপুরের গঙ্গাচড়ায় আবারো ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। এর আগে কক্সবাজারের রামু, পাবনার সাথিয়া এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে একই ধরনের হামলার ঘটনা দেখা গেছে। প্রত্যেকটি ঘটনার সূত্রপাত হয় ফেসবুকের স্ট্যাটাস থেকে। তারপর খবর ছড়িয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করে, মিছিল করে হামলার ঘটনা ঘটে। রংপুরে পুলিশের আশ্বাসের পরেও চতুর্থদিন সংঘবদ্ধ এই হামলা হয়েছে।
বিবিসি বাংলার প্রভাতী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচটি ইমাম জানান, তিনি মনে করেন বেশি সতর্ক হলে এমন ঘটনা এড়ানো সম্ভব। এটি নিয়ে বেশ কয়েকদিন কয়েকবার কথাও হয়েছে এবং যখন এই স্ট্যাটাসটা দেয়া হয়েছে সেসময় টিটুকে গ্রেপ্তার করা যেত। রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, প্রশাসন সবাই মিলে এটিকে প্রশমিত করা যেত। এটার ব্যর্থতা আমাদের সকলকে নিতে হবে। আমাদের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও প্রশাসনের উচিত ছিল আগাম বার্তা দিয়ে সতর্ক করা। রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এবং প্রশাসন সবাই অত্যন্ত সচেতন, কিন্তু এরপরেও এমন ঘটনা ঘটার কারণ হলো ধর্মীয় শিক্ষার অভাব এবং অন্ধ ধর্মীয় চেতনা। রংপুরের এই ঘটনায় দেখা গেছে, জামায়াত এবং বিএনপির কয়েকজন নেতা সবচেয়ে বেশি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। কাজেই এখানে একটা রাজনৈতিক স্বার্থের ব্যাপার আছে। এ কারণে আগামী রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রভাব পড়তে পারে। স্ট্যাটাসে বলা হয়েছিল সে (টিটু) ওখানে থাকত না, কিন্তু আসলে সে (টিটু) ওখানে ছিল। এর দুটো লক্ষ্য থাকতে পারে- একটা হলো তাকে বাঁচানোর জন্য বা নিরাপত্তার জন্য, অন্যটা হতে পারে অন্য একজন তাকে এটি পাঠিয়েছে। সেটি হলে মারাত্মক খারাপ হবে। আমাদের দেশে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ব্যাপকভাবে যে অপব্যবহার হচ্ছে, তা ফেসবুক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বসে আলাপ করা উচিত। এসব কিছুর পেছনে বিরোধী দল নয়, অনেক বড় কোনো নেতা জড়িত আছে বলে তিনি মনে করেন। সূত্র: বিবিসি বাংলা, সম্পাদনা : গিয়াস উদ্দিন আহমেদ