নূহাশ পল্লীতে হচ্ছে হুমায়ূন আহমেদ স্মৃতি জাদুঘর
মবিনুর রহমান : গাজীপুরের নূহাশ পল্লীতে হুমায়ূন আহমেদ স্মৃতি যাদুঘর হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তার স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন। গতকাল শুক্রবার ঢাকা লিট ফেস্টের দ্বিতীয় দিনে বাংলা একডেমির লনে অনুষ্ঠিত হুমায়ূন চলচ্চিত্র নিয়ে আলোচনায় তিনি একথা বলেন। জাদুঘরের সব কাজ প্রায় শেষের দিকে। খুব শিগগির এটি উদ্বোধন হবে। চিত্রনায়ক রিয়াজের সঞ্চালনায় হুমায়ূন আহমেদের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন, চলচ্চিত্র পরিচালক মতিন রহমান ও জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত সিনেম্যাটোগ্রাফার মাহফুজুর রহমান খান আলোচনায় অংশ নেন। হুমায়ূন আহমেদ সম্পর্কে রিয়াজ বলেন, আমি তার পোষা শিল্পী ছিলাম, তার কাজ নিয়ে কথা বলা খুব কঠিন একটি কাজ। আমার পক্ষে সম্ভব হবে না। তার একটা ক্ষমতা ছিল, তিনি গল্পকে চমৎকার সুতায় গাঁথতেন। শ্রাবণ মেঘের দিনে চলচ্চিত্রে একটি মেয়ের জীবনের গল্পকে অসাধারণভাবে বলে গেছেন। তার লেখায় বৃষ্টি, চাঁদ, জোছনার উপস্থিতিই বলে দেয় এগুলোর সঙ্গে তার প্রেমের কথা। রিয়াজ আরও বলেন, ভবিষ্যতে হয়তো কেউ হুমায়ূন আহমেদকে পাঠ করবেন, তাকে নিয়ে গবেষণা করবেন, একেকজন একেকভাবে তাকে ব্যাখ্যা করবেন। তার অপেক্ষায় থাকলাম।
হুমায়ূন আহমেদের সঙ্গে কাজ করার স্মৃতিচারণ করে মাহফুজুর রহমান খান বলেন, আমি সব কাজ ছেড়ে তার কাজ করতে চাইতাম, এতে তিনি খুব অবাক হতেন। তার সঙ্গে লোকেশন দেখতে বিভিন্ন জেলায় গিয়েছি। বহু জায়গা ঘুরেছি। তিনি সবসময় চরিত্রকে বিশ্লেষণ করার জন্য উপযুক্ত জায়গা খুঁজতেন।
হুমায়ূন আহমেদের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যের কথা উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, তিনি যখন স্ক্রিপ্ট লিখতেন, তখন প্রতিটির পাশে শট উল্লেখ করা থাকত। এটা একটা বড় গুণ। তার ৫টি চলচ্চিত্রে কাজ করেছি, ৪টিতেই পুরস্কার পেয়েছি। সম্পাদনা : গিয়াস উদ্দিন আহমেদ