আজ ৭ মার্চের ভাষণ উদযাপনে নাগরিক সমাবেশ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে
আহমেদ জাফর: বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণকে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা, (ইউনেস্কো) ঐতিহাসিক দলিল হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ায় সোহরাওয়াদী উদ্যানে নাগরিক কমিটির উদ্যোগে সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধরু কন্যা শেখ হাসিনা ।
শুরুতে জাতীয় সংগীত ও ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠ তার পরপর সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর ও নির্মলেন্দুগুণ কবিতা আবৃত্তি করবেন। বাংলাদেশে ইউনেস্কোর কান্ট্রি ডিরেক্টর বিট্রিস কালদুল নাগরিক সমাবেশে বক্তব্য দেবেন এবং ইউনেস্কোর প্রতিনিধির হাতে একটি ধন্যবাদ স্মারকও তুলে দেবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়েদুল কাদের। তিনি বলেন, এই সমাবেশ হবে তাদের, যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতার চেতনায় বিশ্বাসী, যারা বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাসে। সাড়ে চার দশক আগে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সংগ্রাম যখন চূড়ান্ত পর্যায়ে, সেই ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ এই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেই (তখন নাম ছিল রেসকোর্স ময়দান) ৭ কোটি বাঙালিকে যুদ্ধের প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ভাষণের ১৮ দিন পর পাকিস্তানি বাহিনী বাঙালি নিধনে শুরু করলে বঙ্গবন্ধুর ডাকে ঝাপিয়ে পড়ে বাংলাদেশের মানুষ। নয় মাসের সংগ্রামের পর বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন হয়। বিভিন্ন দেশের আরও ৭৭টি ঐতিহাসিক নথি ও প্রামাণ্য দলিলের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর সেই ভাষণকেও গত মাসের শেষে ‘ডকুমেন্টারি হেরিটেজ’ হিসেবে ‘ মেমোরি অফ দা ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্টারে’ যুক্ত করে নেয় ইউনেস্কো। স্বীকৃতির উদযাপনেই শনিবার নাগরিক কমিটির ব্যানারে সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। নাগরিক সমাবেশের মঞ্চে কবি কবিতাটি পাঠ করবেন ওবায়দুল কাদের।, অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখবেন সাংবাদিক গোলাম সারওয়ার, শহীদ জায়া শ্যামলী নাসরীন চৌধুরী, অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল। আলোচনা ছাড়াও সমাবেশে থাকছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন। নির্মলেন্দু গুণ ছাড়াও সেখানে । অনুষ্ঠানের সঞ্চালনায় থাকবেন অভিনেতা রামেন্দু মজুমদার ও শহীদ বুদ্ধিজীবী আবদুল আলীম চৌধুরীর মেয়ে ডা. নুজহাত চৌধুরী। এ নাগরিক সমাবেশ সফল করতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি। ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, এ নাগরিক সমাবেশ স্মরণকালের সবচেয়ে বড় সমাবেশ হবে বলে আমরা আশা করছি। দল-মত নির্বিশেষে জনতার ঢল নামবে ১৮ তারিখের সমাবেশে।