ব্রেক্সিট আলোচনা না বাড়ানোর হুশিয়ারি ইইউর
ইমরুল শাহেদ : শুক্রবার ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের নেতারা ব্রিটেনকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, তাদেরকে আলোচনায় আনতে হলে ব্রিটেনকে আরও বেশি উদ্যোগী হতে হবে এবং যাতে আগামী ডিসেম্বর থেকে ভবিষ্যৎ সম্পর্ক ও বাণিজ্যিক বিষয়ে আলোচনা দীর্ঘায়িত করা যায়। সুইডেনের ইইউ সম্মেলনে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে বলেছেন, ব্লক থেকে বেরিয়ে যাওয়ার জন্য অর্থনৈতিক বিষয়টি যেন বিবেচনা করা হয়। তিনি আয়ারল্যান্ড এবং উত্তর আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে যাতে কোনো কঠিন সীমান্ত নীতি গ্রহণ না করা হয় তা নিশ্চিত করতে বলেছেন। ব্রিটেন আগামী ২০১৯ সালের ২৯ মার্চ ইরোপিয়ান ইউনিয়ন ত্যাগ করবে। তার আগে অক্টোবর মাসের মধ্যে ব্রিটেনকে ইইউ ত্যাগের সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে, যাতে ইইউ পার্লামেন্ট বিভিন্ন চুক্তি অনুমোদন করতে পারে। মে চান ভবিষ্যৎ সম্পর্ক এবং বাণিজ্যিক বিষয়াদি অনুপুংখ আলোচনা করে নিতে। ইইউ নেতাদের কথা হলো তারা ব্রিটেনের ইইউ ত্যাগের বিষয়টিতে যদি প্রাথমিক বিষয়ে যথেষ্টভাবে অগ্রগতি হয় তাহলেই আরো আলোচনার প্রস্তুতি নিতে পারেন তারা। ব্রেক্সিটের কারণ যাদের জন্য হুমকি হবে তাদের বিষয় এবং আয়ারল্যান্ড সীমান্তের বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা হবে। সম্মেলনের আতিথ্যকর্তা সুইডিশ প্রধানমন্ত্রী স্টেফান লফভেন গোটেবোর্গে গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘অর্থনৈতিক দায়-দায়িত্ব বলতে কি বুঝানো হচ্ছে তা ব্রিটেনকে পরিস্কার করে বলতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা সবাই আশা করছি আমরা পরবর্তী পদক্ষেপে যেতে পারব। অবশ্য যাওয়ার জন্য আমাদের কাছে কিছু পথতো খোলা আছেই।’
ব্রিটেন বলেছে তারা ইইউ ত্যাগের জন্য তাদের অর্থনৈতিক অঙ্গীকার হিসেবে ২০ বিলিয়ন ইউরো (২৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার) দিতে প্রস্তুত আছে। কিন্তু ইইউ কর্মকর্তারা বলছেন, ব্রিটেনকে ৬০ থেকে ১০০ বিলিয়ন (৭১ হাজার ১১৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার) দিতে হবে।
আইরিশ প্রধানমন্ত্রী লিও ভারাদকার বলেছেন, আলোচনা এগিয়ে যাওয়ার কোনো সম্ভাবনা তিনি দেখছেন না। ব্রিক্সিটের কারণে তার দেশ এবং ব্রিটেনের অংশ উত্তর আয়ারল্যান্ডের মধ্যে কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হবে না মর্মে নিশ্চিয়তা প্রদান করতে হবে।
ভারাদকার বলেছেন, ‘আমরা আয়ারল্যান্ড সীমান্ত নিয়ে নিশ্চয়তা দিয়েছি। অতীতের মতো আয়ারল্যান্ডের অবকাঠামোগত কোনো পরিবর্তন আসবে না।’ তিনি বলেন, ‘ব্রেক্সিট গণভোট হয়েছে প্রায় ১৮ মাস হয়ে গেল এবং তার ১০ বছর আগে থেকেই ব্রেক্সিটের গণভোটের দাবি জানিয়ে আসা হচ্ছিল। তারা এসব নিয়ে কখনো ভাবেননি।’ থেরেসা মের সরকারও ভাবেনি।
ইইউর সুইডিশ সম্মেলনটি কর্মসংস্থান এবং সমাজ কল্যাণ নিয়ে লোকদেখানো মনে হলেও মে ব্রেক্সিট নিয়ে ইউনিয়নের বিভিন্ন নেতার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার সুযোগ পাচ্ছেন। ব্রেক্সিট সমন্বয়ক ইইউ প্রধান বলেছেন, প্রাথমিক অগ্রগতির সব কিছু ২৪ নভেম্বরের মধ্যে শেষ করতে হবে। নতুবা আলোচনার সময় সীমা বাড়ানোর কোনো সুযোগ থাকবে না। সূত্র : এবিসি