উত্তর কোরিয়ার হুমকির মুখে প্রতিরক্ষা শক্তি বাড়াচ্ছে জাপান
ইমরুল শাহেদ : দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর উত্তর কোরিয়ার হুমকিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে এই প্রথম জাপান দেশটির প্রতিরক্ষা শক্তি বাড়াতে যাচ্ছে। শুক্রবার জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে এ কথা বলেছেন। পার্লামেন্টে তার সরকারের নীতি বিষয়ে বক্তৃতা দিতে গিয়ে আবে উত্তর কোরিয়ার ষষ্ঠ পরমাণু পরীক্ষার বিষয়টি উল্লেখ করেন। এর মধ্যে দুটি ক্ষেপনাস্ত্র জাপানের উপর দিয়ে অতিক্রম করেছে। তিনি উত্তর কোরিয়ার এই আচরণকে তার দেশের জন্য জাতীয় সংকট বলে মনে করেন। উত্তর কোরিয়ার এ ধরনের উসকানির বিরুদ্ধে তিনি সুনির্দিষ্ট এ্যাকশনের কথা বলেন পার্লামেন্টকে। তিনি বলেন, ‘জনগণের জীবন এবং শান্তি বজায় রাখার জন্য প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বাড়ানোসহ জাপানের প্রতিরক্ষা শক্তি বাড়াতে হবে।’
তিনি উত্তর কোরিয়ার নীতি পরিবর্তনে আরও বেশি চাপ প্রয়োগের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান। জাপান পার্লামেন্টের ৩৯ দিনের এই অধিবেশন শেষ হবে আগামী ৯ ডিসেম্বর। গত মাসে অনুষ্ঠিত জাপানের নির্বাচনে আবের জোট নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে। পার্লামেন্টের দুই কক্ষেই তার জোটের আধিপত্য রয়েছে। সুতরাং তার যে কোনো সিদ্ধান্তই খুব সহজে অনুমোদন পেয়ে।
জাপানের প্রতিরক্ষা ব্যয় ধীরে ধীরে বাড়ছে। আবে ২০১২ সাল থেকেই জাপানের প্রধানমন্ত্রী। সরকার বলেছে, তারা আরও মার্কিন প্রতিরক্ষা ক্ষেপনাস্ত্র সিস্টেম ক্রয় করার পরিকল্পনা করছে। গত সপ্তাহে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন টোকিও সফর করেন তখন তিনি উত্তর কোরিয়ার তৎপরতা খ-নের জন্য আরও বেশি মার্কিন অস্ত্র ক্রয় করার জন্য উৎসাহিত করেন। তাতে জাপান সহজেই উত্তর কোরিয়াকে মোকাবিলা করতে পারবে।
জাপানে মার্কিন রাষ্ট্রদূত উইলিয়াম হেগার্টি বলেছেন, ট্রাম্পের প্রথম ফোকাস নিরাপত্তা, বাণিজ্য নয়। তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র এ্যাডভান্সড উইপনস টেকনোলজি জাপানকে দেওয়ার চেষ্টা করছে। এই অঞ্চলে মার্কিন প্রতিরক্ষাই সর্বাধিক কার্যকর। হেগার্টি বলেন, ‘আমাদের অভীষ্ট লক্ষ্য হলো জাপানের সক্ষমতা বাড়ানো। আমাদের লক্ষ্য হলো নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা।’ সূত্র : এবিসিনিউজ