আব্দুল আউয়াল মিন্টুসহ ১০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নাম প্যারাডাইস পেপার্সে
শোভন দত্ত : সাম্প্রতিক আলোচিত প্যারাডাইস পেপার্সে বাংলাদেশের ব্যবসায়ী আব্দুল আউয়াল মিন্টু, তার স্ত্রী নাসরিন ফাতেমা, ছেলে তাফসির, তাবিথ ও তাজওয়ারের নাম এসেছে। গত শুক্রবার নতুন করে প্রকাশ করা প্রায় ২৫ হাজার নথি থেকে তাদের নাম জানা গেছে।
তালিকায় আরো রয়েছেনÑ চৌধুরী ফয়সাল (গ্লোবেলেক এশিয়া লিমিটেড ও গ্লোবেলেক এশিয়া হোল্ডিংস লিমিটেড) ও সামির আহমেদ (ড্রাগন ক্যাপিটেল ক্লিন ডেভেলপমেন্ট ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেড), ফরিদা ওয়াই মোগল এবং শহিদ উল্লাহ। তালিকায় ব্রামার অ্যান্ড পার্টনার্স অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট (বাংলাদেশ) লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠানও রয়েছে। অফশোর কোম্পানি হিসেবে এনএফএম এনার্জি লিমিটেডের সঙ্গে মিন্টু পরিবারের সংশ্লিষ্টতার তথ্য এসেছে, যে কোম্পানির এজেন্ট ল ফার্ম অ্যাপলবি। ‘করস্বর্গ’ হিসেবে পরিচিত বারমুডায় ১৯৯৯ সালে নিবন্ধিত এই কোম্পানির অংশীদার বা ‘অফিসার’ হিসেবে আউয়াল মিন্টু, নাসরিন আউয়াল, তাবিথ, তাফসির ও তাজওয়ারের নাম রয়েছে। তাদের ব্যবসায়িক ঠিকানা হিসেবে মাল্টিমোড গ্রুপের ঢাকার প্রধান কার্যালয়ের ঠিকানা দেওয়া রয়েছে।
এই বিষয়ে মিন্টুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি তো এসবের কিছুই জানি না। যেখানে এই তথ্যটা এসেছে, কী তথ্য এসেছে, তা আমার দেখতে হবে, তা বিশ্লেষণ করতে হবে। তারপর আমার বক্তব্য আমি জানাব।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মিন্টু প্রায় এক দশক যুক্তরাষ্ট্রে ছিলেন। ১৯৮২ সালে দেশে ফেরার আগে সেখানে শিপিং ব্যবসায় যুক্ত ছিলেন তিনি। মিন্টুর ছেলে তাবিথ গত বছর বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। তাবিথ বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের অন্যতম সহসভাপতি।
প্যারাডাইস পেপার্সে যাদের নাম এসেছে, তারা আইন ভেঙে সম্পদ গড়েছেন, সরাসরি এমনটা বলা হচ্ছে না। প্রভাবশালী এই ব্যক্তিরা গোপনে অফশোর কোম্পানির মাধ্যমে বিপুল অংকের টাকা বিনিয়োগ করেছেন এমন সব জায়গায়, যেখানে কর নিয়ে কড়াকড়ি নেই; সম্পদের উৎস নিয়েও কেউ মাথা ঘামাবে না।
৫ নভেম্বর ফাঁস হয় ১ কোটি ৩৪ লাখ নথি। এসব নথি প্রথমে জার্মান দৈনিক সুইডয়চে সাইটংয়ের হাতে আসে। পরে সেসব নথি ইন্টারন্যাশনাল কনসোর্টিয়াম অব ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিস্টসের (আইসিআইজে) হাতে তুলে দেয় তারা। সব নথিই বারমুডাভিত্তিক আইনি সহায়তা প্রতিষ্ঠান অ্যাপলবির। এসব নথি পর্যায়ক্রমে তদন্ত করে দেখছেন ৬৭টি দেশের ৩৮০ জন সাংবাদিক। সূত্র : বিডিনিউজ, বাংলা ট্রিবিউন