একাত্তরে যুদ্ধাপরাধ: ২৯তম রায়ের আপেক্ষা সর্বোচ্চ সাজার প্রত্যাশা রাষ্ট্রপক্ষের
জান্নাতুল ফেরদৌস পান্না :
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আনা ২৯তম মামলার রায় ঘোষণার অপেক্ষায় রয়েছে। যেকোন দিন মামলাটির রায় ঘোষণা হতে পারে। জামায়াত নেতা গাইবান্ধার সাবেক সংসদ সদস্য আবু সালেহ মুহাম্মদ আব্দুল আজিজ মিয়া ওরফে ঘোড়ামারা আজিজসহ ছয় আসামির বিরুদ্ধে পুনরায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে মামলাটি রায়ের জন্যে সিএভি রাখা হয়েছে। এদিকে প্রসিকিউশনের দাবি, তারা যে সাক্ষ্য প্রমাণাদি প্রদান করেছে তাতে আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা হতে পারে।
গত ২৩ অক্টোবর আন্তজার্তিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বাধীন ৩ সদস্যের বিচারিক প্যানেল এ আদেশ দেয়। বিচারিক প্যানেলের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি আমির হোসেন ও বিচারপতি মো. আবু আহমেদ জমাদার।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর মুখলেছুর রহমান বাদল এ প্রতিবেদককে বলেন, শিগগিরই এ মামলার রায় ঘোষণা হতে পারে। আমরা আশা করি আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা হবে। প্রসিকিউটর রেজিয়া সুলতানা চমন বলেন, এ মামলার আসামীরা মুক্তিযুদ্ধের সময় ভয়ংকর অপরাধ করেছে। আসামিদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রসিকিউশন প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে। আমরা আশা করছি, আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা হবে।
নবগঠিত ট্রাইব্যুনাল মামলাটি পুনরায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য দিন ধার্য করে আদেশ দেয়। সে অনযায়ী পুনরায় যুক্তিতর্ক অনুষ্টিত হয়।
এর আগে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে আনা আরো ২৮ মামলায় রায় ঘোষণা করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। রায়ে অপেক্ষায় থাকা মামলার আসামিদের মধ্যে রয়েছেন-জামায়াতের সাবেক এমপি আবু সালেহ মুহাম্মদ আব্দুল আজিজ মিয়া ওরফে ঘোড়ামারা আজিজসহ ছয়জন। অন্যান্য আসামিরা হলেন- মো. রুহুল আমিন ওরফে মঞ্জু (৬১), মো. আব্দুল লতিফ (৬১), আবু মুসলিম মোহাম্মদ আলী (৫৯), মো. নাজমুল হুদা (৬০) ও মো. আব্দুর রহিম মিঞা (৬২)। এ ছয়জনের মধ্যে মো. আব্দুল লতিফ কারাগারে আছে, বাকী পাঁচজন পলাতক রয়েছে।
আজিজসহ গাইবান্ধার ছয়জনের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের ২৭ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হয়। আব্দুল আজিজ মিয়া ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পযর্ন্ত বিএনপি নেতৃত্বধীন চারদলীয় জোটের অধীনে জামায়াত থেকে গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ-১ আসনে সংসদ সদস্য ছিলেন। সম্পাদনা : শাহানুজ্জামান টিটু