‘দেশের কল্যাণে সংবিধান পরিবর্তন করুন’
ফাহিম ফয়সাল : সংবিধানে তো ১৬ বার পরিবর্তন আনা হয়েছে। যদি মানুষের কল্যাণ হয়, দেশের কল্যাণ হয়; তবে সংবিধান পরিবর্তন করতে অসুবিধা কোথায়? ধানের শীষের সম্পাদক ও জি-নাইনের সাধারণ সম্পাদক ডা. সাখাওয়াৎ হোসেন সায়ন্ত বাংলাভিশনের সংবাদ পর্যালোচনামূলক ‘নিউজ অ্যান্ড ভিউজ’ টকশোতে গত শুক্রবার এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিএনপির সাথে আলোচনায় বসুন, আলোচনা করুন। যেটুকু মানা যায় সেটুকু মানুন। কিন্তু সরকার আলোচনা করতে চাচ্ছে না বলে আমরা আতঙ্কিত। তারা রাস্তার আন্দোলনের দিকে ঠেলে দিতে চাচ্ছেন। রাস্তায় বিএনপি বা তাদের জোট জিতবে নাকি আওয়ামী লীগ বা তাদের জোট জিতবে জানি না। যে-ই জিতুক হারবে দেশের মানুষ। খুনোখুনির শিকার হবে সাধারণ মানুষ। জানমালের নিরাপত্তাহীন হবো আমরা। দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে, দেশের মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। যদি দেশের মানুষের প্রতি মায়া থাকে, তবে রাস্তার সহিংসতা কীভাবে এড়ানো যায়, সেদিকে নজর দিতে হবে।
রাজনৈতিক দলগুলো তাদের কর্মসূচি পালন করবে। স্বাধীনভাবে সবাই যেন গণতান্ত্রিক কর্মসূচি পালন করতে পারে, সেটাই লক্ষ্য। তাই পাল্টাপাল্টি কর্মসূচির প্রশ্ন আসার কথা নয়।
বিরোধীদল হরতালের ডাক দিলেও রাস্তায় গণপরিবহন নামানোর জন্য বাস মালিকদের বাধ্য করা হয়। কিন্তু বিএনপির সমাবেশের দিন রাস্তায় গাড়ি বের করতে দেওয়া হয় না।
তিনি বলেন, ৭ মার্চের ভাষণ নিয়ে কোনো বিতর্ক নেই। এই ভাষণ স্বাধীনতার জন্য ঐক্যবদ্ধ হতে উৎসাহিত করেছে।
টকশোতে আওয়ামী লীগ নেতা মনিরুজ্জামান মনির বলেন, ৭ মার্চের ভাষণের মাধ্যমে সাড়ে সাতকোটি বাঙালি জাতি মুক্তিযুদ্ধের জন্য উজ্জীবিত হয়েছে। কেন আমরা মুক্তিযুদ্ধে যাব, তা এই ভাষণে বলা হয়েছে। ৭ মার্চের ভাষণের প্রতিটি বাক্য চয়নের মাধ্যমে একটি মহাকাব্য রচনা করা যায়। এটাকে ছোটো করে দেখার সুযোগ নেই। ১৮ নভেম্বরের সমাবেশ কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি নয়, এটি সম্পূর্ণ একটি নাগরিক সমাবেশ। এটাকে পাল্টাপাল্টি সমাবেশ বলার সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিএনপিকে রাজনৈতিকভাবে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সম্পাদনা : আহমেদ রাজু