‘টেকা লাগব না, খাওন দেন ভাই’
রিকু আমির : ‘ভাই যে কই গেল, কইল দুপুরে বিরানি খাওয়াইব, এখন দেখি খবর নাই, ফোনও ধরে না’। ‘আর কইস না, আর আসুম না, এইবারই লাস্ট, পকেটে তো টেকা আছে, কিন্তু এতো মানুষের ভিড় ঠেইলা খাইতে যাইতেইতো জান বাইর হইয়া যাইব’। বনানী থানা কৃষক লীগের কর্মী রতন ও আসলামের কথোপকথন এসব। শনিবার আওয়ামী লীগের নাগরিক সমাবেশ চলাকালে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গেটে তাদের এসব কথা শোনা যায়।
কথা বলতে চাইলে রতন কিছুটা চড়া সুরে বলেন, ভাইয়ের নামে খারাপ কথা লেখবেন? আপনের মতলব তো ভালা না…..। কথা চলার ফাঁকে রতনের মোবাইল ফোন বেজে উঠে। তিনি ফোনে বলতে থাকেন- ভাই, আর পারতাছি না। কখন খাইতে দিবেন। এরপর একটু থেমে বলছিলেন, না না, টেকা লাগব না, খাওন দেন ভাই।
ইতোপূর্বে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের যেসব সমাবেশ হয়েছে, সেসব সমাবেশে নেতাকর্মীদের খাওয়া-খাদ্যের আয়োজন থাকত। হয় উদ্যানের ভেতর চুলায় রান্না হতো, নয়তো বিভিন্ন এলাকার নেতারা প্যাকেটের মাধ্যমে তাদের সঙ্গে আগতদের খাবার দিতো শাহবাগ-ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার মধ্যেই। কিন্তু নাগরিক সমাবেশে এ ধরনের আয়োজন দেখা যায়নি। বিভিন্ন নেতাকর্মীদের কাছ থেকে শোনা কথা অনুযায়ী- দলের উচ্চ পর্যায় থেকে এসব আয়োজনে এবার নিষেধাজ্ঞা ছিল।