পোলার্ড ও আফ্রিদি ম্যাজিকে ঢাকার জয়
আক্তারুজ্জামান : বিপিএলের ১৯তম ম্যাচে মাঠে নেমেছিল ঢাকা ও রাজশাহী। ম্যাচের শুরুতে ঢাকার এভিন লুইস এবং কাইরন পোলার্ডের ব্যাটিং তা-ব চলে। আর পরে বল হাতে ম্যাজিক শুরু করেন শহিদ আফ্রিদি। ঢাকার এই ব্যাটিং তা-ব ও বোলিং ঘূর্ণি দুইয়ে মিলিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়ে রাজশাহী কিংস। যার ফলে সাকিবের ঢাকা ম্যাচটি জিতে নিয়েছে ৬৮ রানে। ঢাকার ২০২ রানের জবাবে রাজশাহীর ইনিংস থেমে যায় ১৩৩ রানে। এই জয়ে ঢাকা ডাইনামাইটস ৬ ম্যাচে টানা ৪টি জিতে শীর্ষেই থাকলো। অন্যদিকে সমান সংখ্যক ম্যাচ খেলে আসরের ৪ নম্বর হার দেখল ড্যারেন স্যামির দল।
২০২ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা মোটেই ভালো হয়নি রাজশাহীর। স্কোর বোর্ডে ২ রান উঠতেই উইকেট হারায় তারা। রনি তালুকদারকে এবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন আবু হায়দার রনি। পরে তালুকদারের চেনানো পথে হেঁটেছেন অন্য ব্যাটসম্যানরাও।
রাজশাহীর শুরু আর শেষের দিকে ব্যাটসম্যানদের ভুগিয়েছেন রনি। আর মাঝের সময়ে চলেছে আফ্রিদি ম্যাজিক। পাকিস্তানি সাবেক এই অলরাউন্ডার একে একে ফিরিয়েছেন মুমিনুল হক (১৬), সামিট প্যাটেল (৬) এবং রাজশাহীর আগের ম্যাচের নায়ক জাকির হাসান। আফ্রিদির বলে ফিরেছেন মেহেদী হাসান মিরাজও। ব্যাট হাতে এই মিরাজের শিকার হয়েছিলেন আফ্রিদি। আফ্রিদি ৪টি ছাড়াও রনি ৩টি, সাকিব ২টি ও মোহাম্মদ সাদ্দাম একটি উইকেট নেন।
শুরুতে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে সূচনাটা ভালোই করেছিলেন দুই ওপেনার লুইস এবং আফ্রিদি। ৮ বলে ব্যক্তিগত ১৫ রানের মাথায় মিরাজের শিকার হয়ে ফেরেন আফ্রিদি। এরপর ক্রিজে আসেন জহুরুল হক। দলীয় ৭৫ রান এবং ব্যক্তিগত ১৩ রানে মিরাজের বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন।
দলীয় ৯৯ রান এবং ব্যক্তিগত ৬৫ রানে ফেরেন লুইস। তার ৩৮ বলের ইনিংসে ছিল ১০টি চার ও একটি ছক্কা। সাঙ্গাকারার সঙ্গে জুটিতে ১১ বলে মাত্র ১১ রান যোগ করেই বিদায় নেন সাকিব আল হাসান। দলীয় ১২৪ রানের মাথায় ফিরে যান সাকিব।
এরপর সাঙ্গাকারাকে সঙ্গ দিতে ক্রিজে আসেন কাইরন পোলার্ড। কিন্তু দলীয় ১৮৬ রান এবং ব্যক্তিগত ২৮ রানের মাথায় ফিরে যান সাঙ্গাকারা। কিন্তু অন্যপ্রান্তে রানের চাকা ঘোরাতে থাকেন কাইরন পোলার্ড। ২৫ বলে পাঁচটি চার ও তিন ছক্কায় ৫২ রান করে অপরাজিত থাকেন ক্যারিবীয় দানব। ম্যাচ সেরা হন ৩৮ বল খেলে ৬৪ রান করা এভিন লুইস। সম্পাদনা : শাহানুজ্জামান টিটু