৭ মার্চের ভাষণকে আওয়ামী লীগ নিজেদের সম্পদ মনে করছে
সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল
এই সরকার গণতন্ত্রকে একটা সর্বনাশা পথের দিকে নিয়ে গেছে। অগণতান্ত্রিক ক্ষমতাকে আরো প্রলম্বিত করার জন্য এখন ষড়যন্ত্র ছাড়া আর কোনো অস্ত্র নেই। সে ষড়যন্ত্রটা প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধেই সাধারণত হয়। তাদের রাজনৈতিক প্রধান প্রতিপক্ষ তো বিএনপি। সেজন্য দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সবাইকে সচেতন ও সতর্ক থাকার জন্য বলেছেন। এখন কোনো অন্তর্ঘাতমূলক কাজ করে বিএনপিকে জনবিচ্ছিন্ন করা বা বিএনপি মনা যেসব রাজনৈতিক সংগঠন রয়েছে তাদের মধ্যে বিভেদ-দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করা। লোভ ও ভয় দেখিয়ে বিভিন্ন রকম কৌশল তারা করতে পারে। এ সময় যেন সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকে নিজেদের মধ্যে। এসব মোকাবেলা করতে না পারলে গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত। দেশনেত্রী এই বিষয়েই সতর্ক থাকার জন্য বলেছেন। সে অনুযায়ী কাজ করা, লক্ষ রাখা সবকিছু। মানুষের প্রতি যে বিএনপির কমিটমেন্ট সে অঙ্গীকারের প্রতি যেন তারা দায়বদ্ধ থাকে। ৭ মার্চের ভাষণ নিয়ে তো কোনো বিতর্ক নেই। কোনো দ্বন্দ্ব নেই। বাংলাদেশের মুক্তির জন্য জাতীয় নেতা শেখ মুজিবর রহমান যে আহ্বান জানিয়েছিলেন, সেটার একটা আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি এসেছে, এতে দেশবাসী সবাই আনন্দিত। কিন্তু সেটাকে শুধু নিজেদের কব্জার মধ্যে রেখে, নিজেদের আওতার মধ্যে রেখে দলীয় সম্পদে পরিণত করা, এটাও গণতন্ত্র পরিপন্থী। সার্বজনীন হওয়া উচিত। কিন্তু এটাকে আওয়ামী লীগ নিজেদের সম্পদই মনে করছে। অন্য কাউকে এখানে ভাগ দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
পরিচিতি : যুগ্ম মহাসচিব, বিএনপি
মতামত গ্রহণ : সানিম আহমেদ
সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ ও খন্দকার আলমগীর হোসাইন