ঝালকাঠির ৫৪ গ্রামে সুপারির বাম্পার ফলন : রফতানি হচ্ছে বিদেশেও
জিয়াউদ্দিন রাজু: ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর উপজেলায় ৫৪টি গ্রামে এবার সুপারির বাম্পার ফলন হয়েছে। স্থানীয় বাজারগুলোতে এ বছর সুপারির দামও বেশ ভাল। ফলন ও দাম বেশী পাওয়ায় খুশি চাষীর। উৎপাদিত সুপারি জেলার চাহিদা মিটিয়ে পাঠানো হচ্ছে দেশের নানা প্রান্তে। এমনকি বিদেশেও রফতানি হচ্ছে। রাজাপুর উপজেলার সাতুরিয়া হাটে সুপারি কেনার জন্য প্রতিদিন জেলা ও জেলার বাইরে থেকে ভীড় জমাচ্ছেন শত শত সুপারি পাইকার। কেনা-বেচা হচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকার সুপারি।
এক সময় ফিলিপাইন ও নিকোবর থেকে আমদানীকৃত এশীয় পামগাছ এরিকা কাটচু জাতের এ ফলটি বাংলাদেশের প্রায় সব জেলায় আবাদ হলেও বরিশাল ও খুলনা বিভাগে বেশী জন্মে। বাঙালী যারা পান খান, সেই পানের প্রধান অনুসঙ্গ হচ্ছে সুপারি। পানের সাথে সুপারি ছাড়া চলেই না। পানের অনুসঙ্গ ছাড়াও এ অঞ্চল থেকে সুপারি ভারত, চীন, সৌদি আরব, বার্মা, থাইল্যান্ডে রফতানি হয়। কৃষকরা জানিয়েছেন, একবার এ গাছ লাগালে তেমন কোন পরিচর্যা ছাড়াই ৩০-৩৫বছর ফলন দেয়। আয় হয় ধানের চেয়ে তিন-চার গুণ বেশী। তাই এ অঞ্চলের কৃষকরা সুপারী চাষের দিকে বেশী আগ্রহী হয়ে উঠেছে । তা ছাড়া সুপারি বাগানে অনায়াশে লেবু, হলুদসহ বিভিন্ন ফসল চাষ করা যায়। রাজাপুর উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এ বছর রাজাপুর উপজেলা তিনশত হেক্টর জমিতে বাণিজ্যিকভাবে চাষ করা সুপারির বাগানে বাম্পার ফলন হয়েছে। বর্তমানে স্থানীয় বাজারগুলোতে সুপারির দামও বেশ ভাল থাকায় সুপারি বাগান মালিকরা বেশ লাভবান হচ্ছেন। বাজার গুলোতে স্থানীয় হিসাব মতে প্রতি কুড়ি (দুইশ’ সুপারিতে এক কুড়ি) সুপারির মূল্য দুইশ’ পঞ্চাশ টাকা থেকে তিনশ’ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। স্থানীয় বাজার ও বাগানগুলো থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানের পাইকাররা এসে সুপারি কিনে নিচ্ছেন। তাদের মাধ্যমে দেশের বিভিন্নস্থানে চলে যাচ্ছে রাজাপুরের সুপারি। দক্ষিণাঞ্চলের মধ্যে রাজাপুরের বড়জাতের সুপারির সুখ্যাতি থাকায় পাইকারদের হাত ঘুরে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে। রাজাপুরের চাড়াখালি এলাকার সুপারির বাগান মালিক আবুল কালাম বলেন, আমার দুই একর জমিতে সুপারির বাগান রয়েছে। সূএ: বাসস