শীঘ্রই গার্মেন্ট শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরির বোর্ডের ঘোষণা আসছে
জাফর আহমদ: শীঘ্রই গার্মেন্টস শ্রমিকদের জন্য বহুল প্রতিক্ষিত ন্যুনতম মজুরি ঘোষণা আসছে। শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বিদেশ সফর শেষে আজ দেশে ফিরলেই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু হবে। এরপর প্রধানমন্ত্রী অফিসের সংকেত পেলেই ন্যুনতম মজুরি বোর্ড গঠনের ঘোষণা আসতে পারে বলে জানিয়েছে শ্রম ও কর্মস্থান মন্ত্রণালয়ের একটি সুত্র।
সর্বশেষ ২০১৩ সালে বর্তমান সরকারের আগের মেয়াদের শেষের দিকে গার্মেন্ট শ্রমিকদের ন্যুনতম মজুরি বোর্ড গঠিত হয়। সে সময় আগের ন্যুনতম মজুরি ৩,০০০ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ৫,৩০০ টাকা করা হয়। ওই সময়ে শ্রমিকদের পক্ষ থেকে ন্যুনতম মজুরির দাবি ছিল ৮,০০০ টাকা। এ নিয়ে উভয় পক্ষের দর-কষাকষি হয়। মালিক পক্ষ ৪,৫০০ টাকার উপরে উঠতে রাজি ছিল না। অপরপক্ষে মালিক পক্ষ ৮,০০০ টাকার নীচে নামার পক্ষে ছিল না। শেষে সরাসরি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপে ন্যুনতম মজুরি ৫,৩০০ টাকা নির্ধারিত হয়। ১৯৮৪ সাল থেকে প্রায় দুইযুগে ৫টি মজুরি বোর্ড গঠিত হয়। এর মধ্যে ১৯৮৪ সালে ঘোষিত হয় ৬০০ টাকা, ১৯৯৩ সালে ৯৩০ টাকা, ২০০৬ সালের ১৬৬২ টাকা ৫০ পয়সা এবং ২০১০ সালে ৩,০০০ টাকা এবং সর্বশেষ ৫,৩০০ টাকা। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দুইটি মজুরি বোর্ড গঠিত হয়।
২০১৩ সালে শ্রমিকদের জন্য মজৃুরি বৃদ্ধির দুই বছর পরই মূল্যস্ফীত হয়ে প্রকৃত মজুরি আগের স্থানে ফিরে যায় বলে অভিযোগ করে মজুরির বৃদ্ধির আন্দোলন শুরু করে শ্রমিকরা। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৬ সালের শেষের দিকে আশুলিয়ায় শ্রমিকরা বড় ধরণের আন্দোলন করে। সে সময় শ্রমিক নেতাদের সন্ত্রাস দমন আইনে আটক করা হয়। এর ফলে দেশে-বিদেশে প্রচন্ড চাপে পড়ে তৈরি পোশাক শিল্প খাত। শেষে চলতি মাসে মালিক পক্ষ বাধ্য হয়ে ন্যুনতম মজুরি বোর্ড গঠন করে শ্রমিকদেরে মজুরি বৃদ্ধির করতে চিঠি লিখে। বিষয়টি স্বীকার করেন বিজিএমইএ-এর সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, অতীতে আমরা দেখেছি মজুরি বোর্ড গঠনের আগে একটি স্বার্থান্বেষী মহল শ্রমিকদের উসকে দিয়ে রাস্তায় নামিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। সে রকম কোনো ঘটনা যাতে না ঘটে, সে জন্য আমরা সরকারকে মজুরি বোর্ড গঠনের অনুরোধ জানিয়েছি।