পৃথিবীর যে কোনো প্রান্তে পরমাণু হামলা চালাতে হাইপারসনিক প্রস্তুতি চীনের
ফাতেমা আহমেদ : ২০২০ সালের মধ্যে চীন শব্দের বেগের চেয়ে ৩৫ গুণ দ্রুতগামী এয়ারক্র্যাফ্টটি তৈরি করবে । মাত্র ১৪ মিনিটে চীনা যুদ্ধবিমান পৌঁছে যাবে মার্কিন উপকূলে, চালাতে পারবে পরমাণু হামলাও। আনন্দবাজার
শুধু আমেরিকায় নয়, খুব অল্প সময়েই যুদ্ধবিমানটি পারমাণু বোমা ফেলতে পারবে পৃথিবীর যে কোনও প্রান্তে। তেমনই এক হাইপারসনিক জেট তৈরি করছে চিন। খবর সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট সূত্রের। বছর তিনেকের মধ্যেই এই হাইপারসনিক জেট আকাশে উড়বে বলে হংকং ভিত্তিক সংবাদপত্রটির দাবি।
হাইপারসনিক জেটটি তৈরির কাজ চলছে বলে এক চিনা বিজ্ঞানীকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট। জেটটিকে পরীক্ষা করা হবে একটি উইন্ড টানেলের মধ্যে। সেই বিশেষ উইন্ড টানেলও এখন নির্মীয়মান। অত্যন্ত গোপনীয় উইন্ড টানেল প্রকল্পটিতে কাজ করছেন যে বিজ্ঞানীরা, তাদেরই এক জনকে উদ্ধৃত করেছে চীনা সংবাদপত্রটি। যে হাইপারসনিক জেট তৈরি হচ্ছে, সেটির পরীক্ষা শুধু নয়, আরও নানা ধরনের হাইপারসনিক অস্ত্রশস্ত্র এবং সরঞ্জাম তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছে চিন। নির্মীয়মান উইন্ড টানেলটি সে সব পরীক্ষা-নিরীক্ষার কাজেও লাগবে । ২০২০ সালের মধ্যেই টানেলটি তৈরি হয়ে যাবে বলে চীনা বিজ্ঞানী ঝাও ওয়েই সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টকে জানিয়েছেন। ২০২০ সালের মধ্যেই পরমাণু হামলায় সক্ষম হাপারসনিক জেটটি তৈরি হয়ে যাবে।
সেকেন্ডে ১২ কিলোমিটার বেগে উড়তে পারবে চিনের নির্মীয়মান হাইপারসনিক এয়ারক্র্যাফ্টটি। অর্থাৎ শব্দের ৩৫ গুণ বেগে। এই বেগে উড়লে চিন থেকে আমেরিকার উপকূলে পৌঁছতে মাত্র ১৪ মিনিট লাগবে।
এই প্রকল্প অবশ্য চিনের প্রথম হাইপারসনিক জেট প্রকল্প নয়। ডিএফ-জেএফ নামে একটি হাইপারসনিক জেট ২০১৩ সালেই তৈরি করে ফেলেছে চীন। এ পর্যন্ত অন্তত সাত বার তার পরীক্ষামূলক উড়ানও সফল হয়েছে বলে ডেইলি মেল সূত্রের খবর।
এই ডিএফ-জেডএফ শব্দের পাঁচ গুণ এবং ১০ গুণ বেগে উড়তে পারে। ডিএফ-জেডএফ ব্যবহার করেই পৃথিবীর যে কোনও প্রান্তে চিনের পক্ষে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো বা পরমাণু বোমা ফেলা সম্ভব বলে চিনা বিজ্ঞানীদের দাবি। কিন্তু তার চেয়েও অনেক শক্তিশালী, দ্রুতগামী এবং প্রায় অপ্রতিরোধ্য জেট তৈরির পথে চীন অনেকটা এগিয়েছে বলে হংকং ভিত্তিক সংবাদপত্রটি জানাচ্ছে।