যানজট কমাতে রাজধানীতে তৈরি হচ্ছে ৪৫ পকেট পার্কিং
বিপ্লব বিশ্বাস : ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন ও ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগের উদ্যোগে তৈরি হতে যাচ্ছে ৪৫টি পার্কিং পয়েন্ট। এসব পার্কিং পয়েন্ট তৈরি হলে যানজট অনেকটাই কমে আসবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন ও ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ডিএমপি’র ট্রাফিক পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘রাজধানীর সড়কে অপরিকল্পিত পার্কিংয়ের কারণে যানজট ও জনদুর্ভোগ নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়েছে। নগরীর অন্তত ৮০ শতাংশ ভবনেই কোনও গাড়ি পার্কিং ব্যবস্থা নেই । এসব ভবনের তালিকায় সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব বহুতল ভবনে পার্কিংয়ের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকায় ওসব এলাকায় যানজট লেগেই থাকে। সড়কের অর্ধেকই থাকে পার্কিং করা গাড়ির দখলে। আর বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহৃত ভবনে পার্কিং ব্যবস্থা নেই বললেই চলে। তাছাড়া নগরীর বাণিজ্যিক ভবনগুলোর স্বীকৃত পার্কিং স্পেসেও গড়ে তোলা হয়েছে দোকান, ব্যবসাসহ নানা স্থাপনা। আবাসিক ভবনগুলোতেও ফ্লোর স্পেস অনুযায়ী পার্কিংয়ের জায়গা রাখা হচ্ছে না। ফলে রাস্তার ওপরে অপরিকল্পিতভাবে গাড়ি পার্কিং করায় নগরীজুড়ে বাড়ছে যানজট। আর যানজট দূর করতেই নতুন করে পার্কিংয়ের জায়গা নির্দিষ্ট করা হচ্ছে।
ডিএসসিসি ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘ঢাকা মহানগরীতে যে পরিমাণ সড়ক থাকার কথা- তা নেই। তাই যানজট লেগেই থাকে। এছাড়া গাড়ি পার্কিং ব্যবস্থা নেই। তাই ফ্লাইওভারের নিচের পরিত্যক্ত জায়গা, প্রশস্ত সড়ক এবং বিভিন্ন এলাকার পরিত্যক্ত জায়গাকে আমরা পার্কিং হিসাবে ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এ নিয়ে ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগসহ অন্যান্য সেবাদান প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কথা হচ্ছে। ইতোমধ্যে পার্কিংয়ের কিছু জায়গা করা হয়েছে। তবে এটি আরও পরিকল্পিতভাবে করা হবে।’
ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগের (দক্ষিণ) যুগ্ম-কমিশনার মফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমরা কিছু পার্কিংয়ের জায়গা ইতোমধ্যে করেছি। আরও কিছু করার পরিকল্পনা আছে। এগুলোকে আমরা পকেট পার্কিং বলে থাকি। সিটি করপোরেশনের সঙ্গে সমন্বয় করে এসব পার্কিং জায়গা করা হচ্ছে। ফ্লাইওভারের নিচে পরিত্যক্ত জায়গা, প্রশস্ত সড়কের পাশের জায়গা, বিভিন্ন এলাকার পরিত্যক্ত জায়গায় এসব পার্কিং করা হবে।’