এনজিওর মাধ্যমে খেলোয়াড় বানাতে চায় পিকেএসএফ
আহমেদ রাজু : দারিদ্র্য বিমোচনের পাশাপাশি সহযোগী এনজিওদের মাধ্যমে ক্রীড়া ও সংস্কৃতিতে অবদান রাখতে চায় পল্লী-কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)। এ লক্ষ্যে একটি কর্মসূচি হাতে নিয়েছে সংস্থাটি। দেশে নতুন খেলোয়াড় ও সংস্কৃতিমনস্ক মানুষ গড়ে তুলতে ভূমিকা রাখবে প্রতিষ্ঠানটি।
পিকেএসএফ’র ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর ড. জসিম উদ্দিন বলেছেন, আগে গ্রাম-গঞ্জ ছিল খেলাধুলা ও সংস্কৃতি বিকাশের সূতিকাগার। কিন্তু গ্রামের সেই ঐতিহ্য এখন হারাতে বসেছে। তাই আমরা হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে চাই। কর্মসূচির আওতায় খেলোয়াড় সৃষ্টি করাই আমাদের উদ্দেশ্য।
সর্বোচ্চ দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র ও যুবসমাজকে নিয়ে প্রথমে প্রতিটি ইউনিয়নে ওয়ার্ডভিত্তিক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে। বিজয়ীদের জন্য থাকবে পুরস্কার।
চলতি বছরের নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে শেষ হবে ওয়ার্ডভিত্তিক প্রতিযোগিতা। আগামী ডিসেম্বর মাসের পর শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা শেষ হলে শুরু হবে ইউনিয়ন পর্যায়ের প্রতিযোগিতা। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে প্রতি ইউনিয়নে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৪০ হাজার টাকা। এরমধ্যে পিকেএসএফ দেবে ৩০ হাজার ও সংশ্লিষ্ট এনজিও দেবে ১০ হাজার টাকা। প্রয়োজনে স্থানীয়ভাবে আর্থিক সহযোগিতা নিয়ে এ বাজেট বাড়ানো যাবে। খেলাধুলা ও সংস্কৃতি প্রতিযোগিতায় থাকছে ফুটবল, দড়ি লাফ, সংগীত, আবৃত্তি, মোরগ লড়াই, বালিশ খেলা, চিত্রাঙ্কন, সাধারণ জ্ঞান, একক নৃত্য ও দলীয় নৃত্য। প্রতিযোগিতা আয়োজনের জন্য প্রথমপর্যায়ে ১৫৩টি ইউনিয়নকে নির্বাচন করা হয়েছে। এরই মধ্যে ১৪৫টি ইউনিয়নকে আর্থিক সহায়তা দেয়া হয়েছে। আগামী বছর অন্তত ৩শ ইউনিয়ন এ প্রকল্পের আওতায় আসবে। কয়েক বছরের মধ্যেই পুরো বাংলাদেশ আসবে এ কর্মসূচির আওতায়। সম্পাদনা : গিয়াস উদ্দিন আহমেদ