ভাষণটি আগেই ঐতিহাসিক ছিলো, এর স্বীকৃতি দিয়েছে মুক্তিযোদ্ধারা
জান্নাতুল ফেরদৌস পান্না: ৭ মার্চের ভাষণ আগেই ঐতিহাসিক ছিলো, এর আসল স্বীকৃতি দিয়েছে মুক্তিযোদ্ধারা। স্বাধীনতার ৪০ বছর পরে এসে নতুন করে ৭ মার্চের ভাষণকে ঐতিহাসিক বলার কিছুই নেই। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের মঞ্চে আমি উপস্থিত ছিলাম। এই ভাষণের ঐতিহ্যতা আমি একাত্তরেই বুঝেছিলাম। গতকাল রোববার সংবিধান প্রণেতা ও সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ড. কামাল হোসেন এক একান্ত সাক্ষাৎকারে এই প্রতিবেদককে এসব কথা বলেন।
সম্প্রতি ৭৭টি ঐতিহাসিক নথি ও প্রামাণ্য দলিলের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের সেই ঐতিহাসিক ভাষণকেও ‘ডকুমেন্টারি হেরিটেজ’ হিসেবে ‘মেমোরি অফ দ্য ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্ট্রারে’ যুক্ত করে নেয় ইউনেস্কো। আর ইউনেস্কোর এই স্বীকৃতিকে ইতিহাসের প্রতিশোধ বলেছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ড. কামালা হোসেন বলেছেন, বঙ্গবন্ধু যে ঐতিহ্য রেখে গেছেন, সেগুলোর কিছুই করা হচ্ছে না। বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিচারণ করে বর্ষিয়ান এই আইনজীবী বলেছেন, বঙ্গবন্ধু দুর্নীতির বিরুদ্ধে আজীবন কাজ করেছেন। এটাকে কেউ স্বীকৃতি দিচ্ছে না। এসব ইতিহাসকে টুকরো টুকরো করে পদদলিত করা হচ্ছে। অথচ এখনই সময় বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ইতিহাসগুলোকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার।
প্রধান বিচারপতির পদত্যাগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সংবিধান প্রণেতা ড. কামাল হোসেন বলেন, আমরা সব কিছুকে অসম্ভব করতে পারি। প্রধান বিচারপতিকে এভাবে সরানো কোনো সভ্য জাতি হিসেবে করতে পারে না। প্রধান বিচারপতিকে শোকজও করা হয়নি। শোকজ করলে তিনি উত্তর দিতেন। আমি-আপনি তাকে প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দেইনি, দিয়েছে সরকার। তিনি বলেন, দোষী হলে এককভাবে প্রধান বিচারপতি হবে কেন, তার সঙ্গে আরো ৭ জন বিচারপতি রয়েছেন, তারাও দোষী হবেন। সম্পাদনা : গিয়াস উদ্দিন আহমেদ