রাশিয়া-ইরান-তুর্কি সম্মেলন : যুক্তরাষ্ট্রর প্রতি প্রচ্ছন্ন সতর্কতা!
কামরুল আহসান : ২২ নভেম্বর বুধবার রাশিয়ার পর্যটন শহর সোচিতে রাশিয়া-ইরান-তুর্কির ত্রিপাক্ষিক সম্মেলন। ১৯ নভেম্বর তুরস্কের আনতালিয়ায় তিনদেশের কূটনীতিকরা বসেছেন ‘ওয়ার্ম-আপ’ করতে। কূটনীতিকদের সঙ্গে ছিলেন মস্কো, আঙ্কারা, তেহরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। চূড়ান্ত আলোচনার শুরু হওয়ার আগেই প্রাথমিক পদক্ষেপ দেখে জেরুজালেম পোস্ট বিশ্লেষণ করেছে যে, এ সম্মেলন আসলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি একটি প্রতীকী প্রচ্ছন্ন সতর্কবার্তা। ঠান্ডাযুদ্ধের পর মধ্যাপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের যে প্রভাব ছিল এখন যুক্তরাষ্ট্র তা হারাচ্ছে। আইএস দমন অভিযান কার্যত এখন রাশিয়ার হাতে। কাতার সংকট ঘিরেও তুরস্ক আর ইরানের সম্পর্ক গভীর হয়ে উঠছে। সৌদি মিত্র জোট কাতারের প্রতি অবরোধ আরোপ করে দিলে রাশিয়াও এখন তাদের সহযোগিতার হাত বাড়াচ্ছে। ফলে ত্রিপাক্ষিক এ শক্তি অনিবার্যভাবেই যুক্তরাষ্ট্রের জন্য হুমকিস্বরূপ আবির্ভাব হচ্ছে। ২০১৫ সালে তুরস্ক রাশিয়ার একটি বিমান বিধ্বংস করলে উভয় দেশের মধ্যে সাময়িক বিরোপ সম্পর্কের সৃষ্টি হয়েছিল। কিন্তু, এখন তা মিটমাট হয়ে যাচ্ছে। আইএস দমনের চেয়ে তুরস্ক এখন কুর্দিদের দমন করতেই বেশি ইচ্ছুক। কারণ, তুরস্ক কোনোভাবেই চায় না কুর্দিরা স্বাধীনতার দাবিতে সোচ্চার হোক। তার কারণ ইরাকের সঙ্গে বাণিজ্যিক লেনদেনের জন্য কুর্দিস্বাধীনতা প্রধান বাঁধা হয়ে দাঁড়াবে। ত্রিপাক্ষিক সম্মেলনে যদিও আইএস দমনই প্রধান ইস্যূ, কিন্তু, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এবং ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি অনিবার্যভাবেই কুর্দি সমস্যা নিয়েই বিশেষ আলোচনা তুলবেন। সেখানে তারা রাশিয়ার কীরকম সহযোগিতা পাবেন তাও দেখার বিষয়। রাশিয়া ওই অঞ্চলে এখন নিজের প্রভাব বাড়াতে চাচ্ছে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই যুক্তরাষ্ট্রকে আস্তে আস্তে সরে পড়তে হবে। আর তাহলে মধ্যপ্রাচ্য থেকে ক্ষমতা কমে যাবে ইসরায়েলেরও। শুধু সৌদির হাত ধরে তারা আর কতোটুকু অগ্রসর হতে পারবে? ২২ তারিখ রাশিয়ার পর্যটন শহর সোচিতে একসঙ্গে বসবেন রাশিয়া, তুরস্ক, ইরান তিনদেশের প্রেসিডেন্ট, ভøাদিমির পুতিন, রিসেপ তাইপে এরদোগান আর হাসান রুহানি। নিঃসন্দেহে এ তিনজনের এখন চোখ সমগ্র পৃথিবীর। জেরুজালেম পোস্ট, আল-আরাবিয়া, রেডিও ফার্দা, উইকিপিডিয়া