‘বঙ্গবন্ধুর ভাষণকে দীর্ঘদিন অবমূল্যায়ন করা হয়েছে’
ফাহিম ফয়সাল : আমরা অনেকদিন বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণকে অবমূল্যায়ন করেছি। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট থেকে ১৯৯৬ সালের ২৩ জুন পর্যন্ত কোথাও বঙ্গবন্ধুর ভাষণ প্রচার করা হয়নি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বাংলাভিশনের সংবাদ পর্যালোচনা মূলক ‘নিউজ এন্ড ভিউজ’ টকশোতে গত শনিবার এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালের ২৩ জুন শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পর বাংলাদেশ টেলিভিশনে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ প্রচার করা হয়। ভাষণ প্রচারের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তখনকার এক ছাত্রী আমাকে বলেছিলো স্যার এই ধরনের একজন নেতা আমাদের আছে, আমরা বুঝতে পারিনি। বঙ্গবন্ধুর কথা বলার ভঙ্গি দেখে সে বিস্মিত। আমরা নিজেরা আমাদের সম্পদকে কতটা অবমূল্যায়ন করেছি, সে জায়গায় অনেক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ইউনেস্কো এই স্বীকৃতি দিয়েছে।
বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ কার্যত আমাদের স্বাধীনতার ঘোষণা, এতে কোনো সন্দেহ নেই। ভাষণের প্রতিটি লাইন প্রতিটি শব্দ এমনভাবে তিনি বলেছেন মনে হবে এটা লিখিত ভাষণ। কিন্তু পুরো ভাষণটিই তিনি তাৎক্ষণিকভাবে বলেছেন। এই ভাষণ শুধু বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণা নয়, এই ভাষণ সারাবিশ্বের মানবসভ্যতার ক্ষেত্রে বড় ধরনের অনুসঙ্গ।
টকশোতে সাবেক কেবিনেট সচিব ড. সাদত হুসাইন বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ পৃথিবীর মধ্যে শ্রেষ্ঠ ভাষণ এতে কোনো সন্দেহ নেই। এই ভাষণে স্বাধীনতা যুদ্ধের ইশারা ছিলো। এখানে শক্ত কথা ছিলো। ভাষণে বলা হয়েছিল, আমাদের অধিকার বঞ্চিত করলে প্রতিরোধ গড়ে তুলবো। কিন্তু রক্তারক্তি করবো বলা হয়নি। এই ভাষণ হাতে লেখা না হলেও, এই ভাষণ সবার মাথায় ছিলো। সম্পাদনা : মোহাম্মদ রকিব হোসেন