নির্যাতিতদের সামনে এসে কথা বলতে হবে
উম্মুল ওয়ারা সুইটি : নির্যাতনের ঘটনাগুলো লুকিয়ে না রেখে এগুলো জনসম্মুখে প্রকাশ করার সময় এসে গেছে। নারীরা যদি নীরকে নিভৃতে মুখ বুজে সহ্য করে তাহলে সমাজ আরো পিছিয়ে পড়বে। তাই ঘটনা সঙ্গে সঙ্গে প্রকাশ করা উচিত।
নারীরা অনেক সময় নিজেরাই সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়ে থাকেন। সামনে আসতে চান না। নারীদের এই জড়তা থেকে নিজেদেরই বেরিয়ে আসতে হবে। এখনকার প্রতিযোগিতার বাজারে কেউ কাউকে জায়গা দেবে না। সামাজিক ও পুরুষতান্ত্রিক আড়ষ্টতাকে ঝেড়ে ফেলে যে নারী বেরিয়ে আসতে পেরেছে, তিনি জয়ী হয়েছেন। তাই প্রথমত নারীদের নিজেদেরই বেরিয়ে আসতে হবে।
মানবাধিকার নেতা ও শিশু সংগঠক অধ্যাপিকা মাহফুজা খানম বলেন, বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন যখন নারী শিক্ষার কথা বলতেন তখন নারীদের চেহারাই দেখা যেতো না। সেই সময় রোকেয়া যেভাবে নিজে বেরিয়ে এসেছেন । সেই সুফল পাচিছ আমরা। এরপর নারী জাগরণের ইতিহাস থেকে দেখা যায় যে, যারা সাহস করে বেরিয়ে এসেছেন -তারাই জয়ী হয়েছেন। এখনো নারীরা সমাজের রক্তচক্ষুর ভয়ে নিজেদের আড়াল করতে চান। কিন্তু এখন সময় অনেকটাই নারীদের বেরিয়ে আসার উপযোগী। নিজেদের মধ্যে সংশয় থাকলে নারী তার সত্যিকারের অধিকার পাবে না।
নারী নেত্রী খুশি কবীর বলেন, নারীদের নিজেদের অধিকার আদায়ের দাবি নিয়ে নিজেদেরই লড়তে হবে। নারীদের কেউই সুযোগ দেবে না। অধিকার আদায়ে নারীদের আরও বেশি সোচ্চার হতে হবে। নিজে এবং নিজের চেয়ে আরও বেশি সুবিধা বঞ্চিত নারীকে সামনে এগিয়ে আনার দায়িত্বও নিতে হবে সবাইকে। আমরা শুধু নারীদের অধিকার নিয়ে কথা বললেই হবে না। নারীদের নিজেদেরই থাকতে হবে। আমি বলবো, আপনারা নিজেদের ভাগ্য নিজেরাই গড়ে তুলুন।