আজকেও সুফিয়া কামাল খুবই প্রাসঙ্গিক : মালেকা বানু
তাসকিনা ইয়াসমিন : বাংলাদেশের প্রগতিশীল আন্দোলন ও নারী আন্দোলনের পথিকৃৎ কবি সুফিয়া কামালের ১৮তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ সোমবার। তার আদর্শ বাস্তবায়নে কাজ করছেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু। তিনি বলেন, আমরা কবি সুফিয়া কামাল (জন্ম ২০ জুন ১৯১১-মৃত্যু, ২০ নভেম্বর, ১৯৯৯)কে সবসময়ই স্মরণ করি। তার চিন্তা-ভাবনা তার কর্মকা-কে মেনে চলার চেষ্টা করি। কারণ তার প্রতিটি কর্মকা- খুবই প্রাসঙ্গিক। তিনি সবসময় নারীর ক্ষমতায়ন চেয়েছেন। তিনি চেয়েছেন নারীরা শিক্ষা গ্রহণ করে স্বাবলম্বী হোক। আজকেও আমরা নারীর ক্ষমতায়নের কথা বলছি। কিন্তু দেখছি একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে থেকে ছাত্রীকে তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তার ছাত্রীকে নিরাপত্তা দিতে পারছেনা। একটি মেয়েকে ধর্ষণ করে তার চুল কেটে দেওয়া হচ্ছে। ছোট শিশুরা পর্যন্ত ধর্ষণের ভয়াবহতা থেকে রেহাই পাচ্ছে না। পথেÑঘাটে, বাড়িতে, কর্মক্ষেত্রে সবখানেই নারীরা যৌন সহিংসতার শিকার হচ্ছে। সুফিয়া কামাল নারীর নিরাপত্তার বিষয়ে সোচ্চার ছিলেন। উনি যে আদর্শ লালন করতেন সেই আদর্শ ধরেই আমাদের অগ্রসর হতে হবে। আমরা তার কাছে আমাদের কাজের অনুপ্রেরণা পাই।
তিনি বলেন, আমরা সারাবছরের প্রতিটি দিনই তাকে স্মরণ করি। মৃত্যু দিবসে তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্মরণ করব বলে ঠিক করেছি। জাতীয় পর্যায়েও তিনি একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ দেখতে চেয়েছেন। আজকে আমরা যে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা দেখতে পাচ্ছি। তিনি এর বিরুদ্ধে ছিলেন। তিনি ছিলেন মানবতার পক্ষে। তিনি ছিলেন একজন মানবতাবাদী মানুষ। তিনি সবসময় বলতেন এবং বিশ্বাস করতেন নারীমুক্তি মানে মানবমুক্তি। সামগ্রিক পরিস্থিতিতে তিনি সমাজের বিবেক জাগ্রত করার আহ্বান জানিয়েছেন। তরুণসমাজ, যুব সমাজের সামগ্রিক বিবেক জাগবে এবং তারা নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে, সাম্প্রদায়িকতা প্রতিরোধে একজোট হয়ে কাজ করবে তিনি সেটা চাইতেন। তিনি চাইতেন রাষ্ট্র তার নাগরিকের জীবন-মান রক্ষায় সুষ্ঠুভাবে দায়িত্ব পালন করবে। এইজন্যই বলি – কবি সুফিয়া কামালের আদর্শ এখনও খুবই প্রাসঙ্গিক। সম্পাদনা : মোহাম্মদ রকিব হোসেন