বারী সিদ্দিকীকে নিয়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার শেষ নেই
রিকু আমির : গত শুক্রবার রাত থেকে এ পর্যন্ত লাইফ সাপোর্টে থাকা প্রখ্যাত সঙ্গীত শিল্পী বারী সিদ্দিকীকে নিয়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার শেষ নেই। চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে তার ছেলে সাব্বির সিদ্দিকী কদিন ধরে একটি কথাই বলছেন- এখন দোয়া করা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে থাকা ৬৩ বছর বয়সী এই শিল্পী দুই কিডনি বিকলের পাশপাশি ডায়াবেটিস ও হৃদরোগে আক্রান্ত। বছর দুয়েক যাবত তিনি কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন। গত বছর থেকে সপ্তাহে ৩ দিন কিডনির ডায়ালাইসিস করছেন তিনি। বর্তমানে তিনি স্কয়ার হাসপাতালের হৃদরোগ বিভাগের চিকিৎসক আবদুল ওয়াহাবের তত্ত্বাবধায়নে চিকিৎসাধীন।
গত রোববার রাতে তার মৃত্যুর গুজব ছড়িয়ে পড়ে। এতে তার ভক্ত-অনুরাগী, দূরবর্তী স্বজনদের মধ্যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বেড়ে যায়, যার কিছুটা প্রতিফলন দেখা গেছে ফেসবুকে। সাংবাদিক ও গুটিকয়েক অতি ঘনিষ্ঠজন ছাড়া আর কেউ তার খোঁজে আসছেন না স্কয়ার হাসপাতালে। মোবাইল ফোনে কেউ কেউ খোঁজ নিচ্ছেন। এছাড়া প্রতিদিনই স্কয়ার হাসপাতালের রিসিপশন থেকে কোনো না কোনো ভক্ত-গুণগ্রাহী বারী সিদ্দিকীর খোঁজ নিয়ে যাচ্ছেন।
গতকাল সোমবার বিকালে তার সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে হাসপাতালের রিসিপশন ত্যাগ করছিলেন ছায়ানটের শিক্ষার্থী শোভন। তিনি ভাঙা স্বরে এ প্রতিবেদককে বলেন, আমি অনেক আগ থেকেই উনার গানের ভক্ত। উনার গান চর্চাও করি। আজ উনার অবস্থা শুনে উনারই গান, ‘আমি একটা জিন্দা লাশ’ এর কথা মনে পড়ছে। সত্যিই খুব কষ্টের।
দীর্ঘদিন সঙ্গীতের সঙ্গে জড়িত থাকলেও সবার কাছে বারী সিদ্দিকী শিল্পী হিসেবে পরিচিতি পান ১৯৯৯ সালে। ওই বছর হুমায়ূন আহমেদের ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’ চলচ্চিত্র মুক্তি পায়। এই ছবিতে তিনি ৬টি গান গেয়ে রাতারাতি আলোচনায় আসেন। তার জনপ্রিয় কয়েকটি গান হচ্ছে- ‘শুয়াচান পাখি’, ‘পুবালি বাতাসে’, ‘আমার গায়ে যত দুঃখ সয়’, ‘ওলো ভাবিজান নাউ বাওয়া’ ইত্যাদি। সম্পাদনা : গিয়াস উদ্দিন আহমেদ