মিয়ানমারের রাজধানীতে বৈঠকে বসেছেন ৫৩ দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবার সমাধানের পথে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া
তরিকুল ইসলাম : মিয়ানমারের রাজধানী নেপিডোয় গতকাল শুরু হয়েছে দুই দিনব্যাপী এশিয়া-ইউরোপ (আসেম) সম্মেলন। যেখানে ৫৩ দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অংশগ্রহণ করেছেন। এশিয়া ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা চলমান এই সম্মেলনে রোহিঙ্গা ইস্যুতে তাদের বক্তব্য তুলে ধরাসহ রোহিঙ্গাদের রাখাইনে প্রবেশের অধিকার ফিরিয়ে দিতে দেশটির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। সম্মেলনে যোগ দিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী রোববার রাতে মিয়ানমারের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেছেন। আজ আসেম পররাষ্ট্র মন্ত্রীদের সম্মেলন শেষে তিনি ২২ ও ২৩ নভেম্বর নেপিডোতে অবস্থান করবেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে অংশগ্রহণ করতে মাহমুদ আলী সম্মেলন পরবর্তী দুদিন নেপিডোতে অবস্থান করবেন। দ্বিপক্ষীয় এই বৈঠকের মাধ্যমে বাংলাদেশ রোহিঙ্গা ফেরত ও প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করতে চায়। বৈঠকে আলোচনার মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য দুই দেশের মধ্যে চুক্তি হতে পারে। আর সেই চুক্তি অনুসারে দুই দেশের মধ্যে যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন হবে বলে আশা করা হচ্ছে। বতর্মান রোহিঙ্গা সংকট তুলে ধরার জন্য বাংলাদেশের জন্য আসেম পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলন অত্যন্ত কার্যকর একটি ফোরাম বলে মনে করছেন সরকারের নীতিনির্ধারকরা। কেননা, এই সম্মেলনের আয়োজন করছে এবার মিয়ানমার। সে কারণে এই সম্মেলনে অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ বিভিন্ন দেশের কাছে রোহিঙ্গা সংকট তুলে ধরার পাশাপাশি বহুবিধ সুবিধা অর্জন করতে পারবে। মিয়ানমারের আসেম সম্মেলনে যোগ দেওয়ার আগেই বাংলাদেশে এসে রোহিঙ্গা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেছেন ইউরোপী ইউনিয়নের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফেদেরিকো মোঘেরিনি, জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিগমার গ্যাব্রিয়েল, সুইডেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মারগট ওয়ালস্টার ও জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তারো কানো। ঢাকা সফরকালে আসেম সম্মেলনে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আলোচনা করার কথা জানান ইউরোপী ইউনিয়নের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। অবশ্য ক্যাম্পে আশ্রয় নেওয়া বেশ কয়েকজন রোহিঙ্গা স্মরণার্থী জানিয়েছেন, বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়ার পর তারা যে সুযোগ সুবিধা ভোগ করেছেন, সেটা নিজ দেশে কখনোই ভোগ করতে পারেননি। তবুও নিজ দেশে ফিরে যেতে আগ্রহী তারা। মিয়ানমারে চলমান আসেম সম্মেলনে রোহিঙ্গা সংকট সমধানের পথ বের হয়ে আসার প্রত্যাশার কথাও জানালেন তারা। এ দিকে রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে মিয়ানমারের রাজধানীতে এশিয়া ও ইউরোপের দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের উপস্থিতির সর্বোচ্চ সদ্ব্যবহারের কথা ভাবছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। সম্পাদনা : তরিকুল ইসলাম সুমন