রক্ষক ভক্ষক হলে খুন গুম তো বাড়বেই
বর্তমানে গুম, হত্যা, কিডন্যাপ ইত্যাদি বেড়েই চলেছে। হত্যা, গুম বাড়ছে। ফলে সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অসন্তুষ্টি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর প্রধান কারণ হচ্ছে অবাধ তথ্য প্রবাহ। কিন্তু হত্যা, গুম ইত্যাদির কারণে মানুষের মধ্যে একটা চেতনা আসছে।
চেতনার কারণে অপরিচিত হয়েও এ সমস্ত পন্থা অনেকে গ্রহণ করেছে। যেমন: কোনো জায়গায় গণ নিপীড়ণ হলো, আরেক জায়গায় দেখা যাচ্ছে যে এর দায়ী লোকজন অনেকগুলো। দ্বিতীয় কারণ হচ্ছে, এসব হত্যা, গুম এর কোন শাস্তি নেই, কোনো প্রতিরোধ মূলক ব্যবস্থা নেই। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা যারা গুম, হত্যা করছে যে শাস্তির আওতায় আনবে, তা আমরা লক্ষ করছি না। আমরা শুনেই যাচ্ছি, গুম হচ্ছে, হত্যা হচ্ছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে আমরা শুনেছি যে, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কিছু লোক হত্যা, গুম ইত্যাদির সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত থাকে। দেশে বা বিদশে হোক, রক্ষক যদি ভক্ষক হয়, তাহলে খুন, গুম তো বাড়বেই, কমবে না। দেশে এর জববদিহিতা খুব কম এবং শক্তিশালী কোনো বিরোধী দল নেই, যার জন্য চাপ সৃষ্টি করতে পারে। এই প্রবণতা রোধ করার জন্য সামাজিক আন্দোলন তৈরি করা যাচ্ছে না। আমি মনে করি, এসব গুম, হত্যা প্রতিকার করার জন্য কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা, জনমত গঠন করা এবং যারা রাজনৈতিক দল আছে, তাদের ঐক্যমতে আসা যে, এটা রোধ করতে হবে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে আরও বেশি জবাব দিহিতার আওতায় আনতে হবে। তাহলে এসব সামাজিক অস্থিরতা দূর করা সম্ভব।
পরিচিতি : অধ্যাপক, সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
মতামত গ্রহণ : নজরুল ইসলাম
সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ