মুখ দেখে কাউকে প্রার্থী করা হবে না
সামনে নির্বাচন। এক বছর পর নির্বাচন হবে। নির্বাচনের প্রস্তুতি কিন্তু সব দলই নিচ্ছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ যেহেতু রোলিং পার্টি এবং প্রধান দল বাংলাদেশের। সে কারেণে তার তো কর্মকা- থাকবেই নির্বাচন কেন্দ্রীক। প্রস্তুতি চলছে। আগামী এক বছর পরে জাতীয় নির্বাচন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিটি নির্বাচনী এলাকায় কারা কারা সম্ভাব্য প্রার্থী কারা হতে পারেন খোঁজখবর নিচ্ছেন। বিভিন্ন গোয়েন্দা রিপোর্ট আসছে। শেখ হাসিনার নিজস্ব টিম আছে তারাও কাজ করছেন। আমরা দল থেকে সারা বাংলাদেশের খোঁজখবর রাখছি। বিচার বিশ্লেষণ করছি, কোন কোন প্রার্থীর কি অবস্থা। তাদের সাথে জনগণের সম্পৃক্ততার খোঁজখবর রাখছি প্রতি নিয়ত। প্রত্যেকটা বিভাগের আলাদা আলাদা আমরা রিপোর্ট করছি। সাংগঠনিক সফর করছি। সম্ভাব্য আসনের প্রার্থীদের মনিটরিং করছি। তাদের কি অকস্থা সেটা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অবহিত করা হচ্ছে। পার্টি প্রধান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যিনি জিতে আসতে পারবেন, জনগণের সাথে সম্পৃক্ততা ভালো, তাকেই তিনি মনোনীত করবেন। জনসম্পৃক্ততা ভালো না, তাকে আপনি দিলে তিনি তো জিতে আসেতে পারবেন না। এটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। মুখ দেখে কাউকে প্রার্থী করা হবে না। আপনার সাথে আমার সম্পর্ক ভালো। সেটা ঠিক আছে। কিন্তু যাকে দিলে প্রার্থী জিতে আসতে পারবে কেবল তাকেই চূড়ান্ত করা হবে। আমরা লক্ষ হচ্ছে, দলকে ক্ষমতায় আনা। এক এক করে রান করে আমাকে ১৫১ রান করে জিতে আসতে হবে। ১৫১ হলো মেজোরিটি। আমরা সেভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেভাবে ভাবছেন প্রস্তুতি নিচ্ছেন। বাংলাদেশে এখন কোনো জঙ্গিবাদের অস্তিত নেই। বাংলাদেশে শান্তি বিরাজ করছে। বাংলাদেশ আজ নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে আছে। অর্থনীতি একটা শক্তিশালী ভিতে উপর দাঁড়িয়ে। পদ্মা সেতু তার একটি অন্যতম। পদ্মা সেতু আজ শুধু স্বপ্ন নয়, এটা প্রধানমন্ত্রী বিশাল অর্জন।
পরিচিতি : সাংগঠনিক সম্পাদক, আওয়ামী লীগ
সম্পাদনা : খন্দকার আলমগীর হোসাইন