বগুড়ায় পানিফল চাষে সুদিন ফিরেছে চাষিদের
জিয়াউদ্দিন রাজু: পতিত খাল-বিল ও জলাশয় জুড়ে চাষ হচ্ছে পানি ফলের গাছ। বাজারে প্রচুর পানিফল উঠেছে। চাষ যেমন বাড়ছে তেমনি বেচাকেনা হচ্ছে। মৌসুমের শুরুতে দাম একটু বেশি হলেও এখন কিছুটা কমে এসেছে। ডিসেম্বর পর্যন্ত পানি ফল পাওয়া যাবে বাজারে। বগুড়া জেলায় গাবতলী উপজেলাসহ বিভিন্ন উপজেলার জলাভূমিতে পানি ফল চাষ হয়েছে। প্রতি হেক্টরে ২৫ টন ফল উৎপাদন হয় বলে জানান জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপরিচালক প্রতুলণ চন্দ্র সরকার। কম খরচে লাভজনক এ ফল চাষ করে অনেক চাষির সুদিন ফিরেছে। বগুড়ার গাবতলী উপজেলায় মৌসুমী পানিফল চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকের। আশ্বিন মাস থেকে শুর করে শীতকাল জুড়েই ক্ষেত থেকে পানিফল তুলতে চাষিরা ব্যস্ত থাকে। গাবতলী ছাড়াও অন্যান্য উপজেলায় পানিফলের চাষ হয়ে থাকে তবে তার পরিমান খূব বেশি নয়। সূত্র:বাসস
গাবতলী উপজেলার পতিত জলাশয়ে দৃষ্টিনন্দন পানিফল গাছে ভরে গেছে। চাষিরা পতিত খাল-বিল জলাশয়ে পানিফলের সঙ্গে মাছ চাষ করছেন। এ ফলের কোনো বীজ নেই। লতাপাতার মতো সারা বছরই জলাশয়ে ভাসতে দেখা যায় পানিফলের গাছ। নিচু এলাকার বিল-জলাশয়ে মৌসুমী ফসল হিসেবে পানি ফল চাষ হয়। মাছের সঙ্গে মিশ্রভাবেও চাষিরা এ ফল চাষ করেন। গাবতলী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবু জাফর মুহাম্মদ আহসান শহীদ বলেন, মৌসুমে প্রতি জমি হতে ২-৩ বার পানি ফল আহরণ করা যায়। এটি পানিতে ভরপুর এবং প্রচুর খনিজ উপাদানে সমৃদ্ধ সুস্বাদু ফল। সম্পাদনা : সৈয়দ নূর-ই-আলম॥