রোহিঙ্গা শিশু শফিকার দিন কাটে যেভাবে
শ.ম.গফুর, উখিয়া (কক্সবাজার) : রোহিঙ্গা শিশু শফিকা। হারিয়েছে বাবা। এপারে এসেছে অসুস্থ মা আরো তিনভাই বোন। মিয়ানমার সেনা ও উগ্রপন্থি রাখাইনদের নির্যাতনের মুখে পালিয়ে আসা ১১ বছরের শিশু শফিকার জীবন চলছে অনেকটা অনিশ্চয়তায়। যে বয়সে মা বাবার আদরে বই-খাতা কলম নিয়ে স্কুলে যাওয়ার কথা, হেসে খেলে দিন কাটা আর ছুটাছুটি করবে? সে বয়সে সে ছুটছে এই ক্যাম্প থেকে ওই ক্যাম্পে। শিশুটি জানায়- বাবাকে হারিয়ে মাকে নিয়ে এপারে এসেছি। থাইংখালী ক্যাম্পে খালার বাসায় মাকে রেখে এসেছি। বাবার অনুপস্থিতিতে শফিকার চিন্তা অসুস্থ মাকে নিয়ে। খাদ্য, বাসস্থান আর জীবিকা নির্বাহের জন্য বিভিন্ন স্থানে ছুটে বেড়াচ্ছে সে। মা ছাড়া তার পরিবারে আরো তিন ভাই বোন আছে। সে সকলের বড়। পরিবারের ‘প্রধান দায়িত্বে’ থেকে শফিকার সাহসী পথ চলার প্রথম যাত্রায় সামান্য শরিক হয়ে পথ দেখিয়ে দিলাম।শফিকার সাথে কলা বলে জানা গেছে- রাখাইনের বুচিডং মিঙ্গিজী পাড়া এলাকায় তাদের সহায়-সম্পদ ছিল। পুকুর ভরা মাছ আর গোয়াল ভরা ধান ছিল।
সাজানো সুখী পরিবারে বেশ ভালোই কাটছিল তাদের। মিয়ানমারের সেনা-পুলিশের গুলিতে মারা যায় শফিকার বাবা সোলাইমান। বাবা নিহত হওয়ার পর শফিকার মা সেতারা বেগম বুকের ধন চার সন্তানকে নিয়ে কিছুদিন আগে চলে আসে বাংলাদেশে। শফিকা জানায়- মা ও ছোট ভাই বোনদের দেখাশোনা করতে হয় তাকে। সম্পাদনা : মুরাদ হাসান