চট্টগ্রামে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১১
শহিদুল ইসলাম, চট্টগ্রাম: তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রামে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংর্ঘষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের ১১ জন আহত হয়েছে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও ওমর গণি এমইএস কলেজ ছাত্রলীগের মধ্যে এ সংঘষের ঘটনা ঘটে বলে জানাগেছে। আহতদের মধ্যে নগর ছাত্রলীগের উপসম্পাদক মিনহাজুল আবেদীন সানি, পাঁচলাইশ ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা আরিফুল ইসলাম মাসুম গুরুতর আহত হয়। তাদের বেসরকারি ম্যাক্স হাসপাতালে আইসিইউতে রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে। আহত অন্য আটজনকে চমেকে হাসপাতালের বিভিন্ন ওর্য়াডে ভর্তি করা হয়। সোমবার রাত সাড়ে ১০ টায় গোলপাহাড় মোড়ে এই সংর্ঘষ শুরু হয়ে প্রবর্তক মোড় ও চমেক হাসপাতালের গেইট পর্যন্ত থেমে থেমে রাত ১১ টা পর্যন্ত সংর্ঘষ চলে। এসময় পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। দোকানপাট, ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন হাসপাতালের মূল ফটক বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। চকবাজার থানার ওসি নুরুল হুদা বলেন, বেসরকারি মেট্রোপলিটন হাসপাতালের এক ডাক্তারের সঙ্গে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তিনজন ইন্টার্ন ডাক্তারের কথা কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তবে খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রে আনে। ? প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ইন্টার্ন চিকিৎসক ও চমেক শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ডা. নাহিদ ডা. আশরাকে মারতে আসছে এমন সংবাদ পেয়ে ওমর গণি এমইএস কলেজ ছাত্রলীগের একটি গ্রুপ গোলপাহাড় মোড়ে অবস্থান নেয়। ডা. নাহিদসহ তার অনুসারীরা সেখানে আসলে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
এসময় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চলে। কিছুক্ষণের মধ্যে সংর্ঘষ সবদিকে ছড়িয়ে পড়ে। সম্পাদনা : মুরাদ হাসান