১৯৯০-এর পর বদলে গেছে যৌনজীবন : গবেষণা
কামরুল আহসান : সাম্প্রতিক এক গবেষণায় জানা গেছে ১৯৯৩-২০০১ সাল পর্যন্ত জন্ম নেয়া তরুণ-তরুণীদের যৌন জীবন অনেকখানি বদলে গেছে তাদের পূর্বপুরুষদের থেকে। এখন তাদের যৌনতায় যুক্ত হয়েছে অনেক ‘গরম মশলাযুক্ত উপদান’। বর্তমানে যৌনকর্মে নারী-পুরুষ উভয়ই সমানভাবে অংশগ্রহণ করে। তরুণীরাও এখন আর তাদের মা-দাদীদের মতো লজ্জার আবরণে ঢেকে রাখে না নিজেদের। বরং তারা পুরুষের লিঙ্গ মন্থন করে, মৌখিক যৌনতায় অংশ নেয় এবং নিজেদের যৌনাঙ্গ সঙ্গীকে লেহন করতে দেয়।
লন্ডন স্কুল অব হাইজেনিক এন্ড ট্রপিক্যাল মেডিসিন প্রায় ৪৫ হাজার তরুণ-তরুণীর ওপর গবেষণা করে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করে যে, ১৯৯০-এর মতো শোবার ঘরের চিত্র অনেকখানি বদলে গেছে। যৌনতাকে এখনকার তরুণ-তরুণীরা অনেকখানি স্বাস্থ্যসম্মত শৈল্পিকচর্চার মতো নিয়েছে। সঙ্গম করতে করতে তারা বিরতি নেয়, সময় নেয়, প্রয়োজনে বৈঠক ও আসন পরিবর্তন করে এবং নিজেদের শরীরকে আরো খোলাখুলিভাবে উন্মচন করে। ১৯৯০ সালের আগে অনেক নারীরই অর্গাজম সম্পর্কে কোনো ধারণা ছিল না। এখনকার তরুণীরা অর্গাজম সম্পর্কে সচেতন এবং অর্গাজমকে তারা অনেকটা নিজেদের অধিকার আদায়ের মতো করেই নিয়েছে।
ন্যাশনাল সার্ভিস অফ সেক্সুয়াল অ্যাটিচুড এন্ড লাইফস্টাইলের তথ্যমতে জানা যায়, বর্তমানে ১৬ বছরের আগেই অনেক তরুণ-তরুণীর যৌন সঙ্গমের অভিজ্ঞতা হয়ে যায়। ২০০১ বা ২০০২ সালে জন্ম নেয়া তরুণ-তরুণীদের, যাদের বয়স এখন ১৫-১৬ তারা পূর্ণসঙ্গম না করলেও চুমো ও মৌখিক লিঙ্গমন্থন করে থাকে। তবে এদের অনেকেরই যৌনতা সম্পর্কে যেমন আগ্রহ বা স্বাধীনচেতা ততোটা স্বাস্থ্যসচেতন নয়। তাই এ বয়সী তরুণ-তরুণীদের অত্যাধিক যৌনসম্পৃক্তায় স্বাস্থ্যহীনতার আশংকা থাকে। তথ্য উপাত্ত সংগ্রহের মাধ্যমে প্রকৃত শিক্ষা প্রচারই এদের স্বাস্থ্যকর যৌনজীবন উপহার দিতে পারে। দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট