গোয়েন্দা কার্যক্রম জোরদারে উন্নত প্রযুক্তির যন্ত্রপাতি সংগ্রহ করছে সরকার
আনিসুর রহমান তপন : রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা জোরদারের লক্ষ্যে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার জন্য উন্নত প্রযুক্তির আধুনিক বিশেষায়িত কারিগরী যন্ত্রপাতি ও অন্যান্য সরঞ্জাম ক্রয়ের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। সম্প্রতি এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে পাঠিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। যা আজ সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিতব্য বৈঠকে অনুমোদনের সম্ভাবনা রয়েছে। বৈঠকে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ এর সভাপতিত্ব করার কথা রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানাগেছে, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার স্বার্থে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা অধিদফতরের কার্যক্রম জোরদার করতে আধুনিক ও উচ্চ প্রযুক্তির যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম সংযোজন জরুরি হয়ে পড়েছে। কারণ অপরাধীরা এখন প্রায় সব ধরনের প্রতারণা, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, হুমকিসহ অপরাধমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে আধুনিক প্রযুক্তির মোবাইল ফোন অথবা মোবাইল ফোনের বিভিন্ন অপশনের মাধ্যমে। অন্যদিকে জঙ্গিবাদের যোগাযোগ নেটওয়ার্কও প্রযুক্তি নির্ভর। আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে বিকল্প ও উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজলভ্য হওয়ায় জঙ্গিবাদের মূল যোগাযোগের নেটওয়ার্ক হিসেবে জঙ্গিরা ওয়েব বেইজড (ইন্টারনেট ভিত্তিক) ডাটা প্লাটফর্ম ব্যবহার করছে। এজন্য জঙ্গি বা অপরাধীরা যোগাযোগের ক্ষেত্রে ফেসবুক, টুইটার, স্কাই-পে, ভাইবারসহ আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে থাকে। দ্রুত ধাবমান নিত্যনতুন আধুনিক প্রযুক্তির এসব অপশন চিহ্নিত করে দ্রুত অপরাধী চিহ্নিত করা, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, চাঁদাবাজি, প্রতারণাসহ অপরাধ দমন ও স্বল্প সময়ে অপরাধীকে চিহ্নিত করে গোয়েন্দা কার্যক্রম আরো জোরদার করার লক্ষ্যে এসব মোবাইল ইন্টারসেপ্টর সংগ্রহের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। প্রস্তাবিত যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম দিয়ে মনিটরিংয়ের মাধ্যমে দ্রুত অপরাধী শনাক্ত ও তাদের কার্যক্রম সম্পর্কে অবগত হয়ে অপরাধীদের সঠিক অবস্থান নিরুপণ করা সম্ভব হবে।
এজন্য প্রায় ৩৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে মোবাইল ইন্টারসেপ্টর-জিএসএম সেলূলার/মোবাইল ডিভাইস সাবসক্রাইবার ‘অফ দ্য এয়ার’ মাস ইন্টারসেপশন সিস্টেম (জিএসএম-ডাউনগ্রেড ইউএমটিএস) ও ওয়াই-ফাই ইন্টারসেপশন সিস্টেম ক্রয়ের একটি প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য পাঠিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে। সম্পাদনা: তরিকুল ইসলাম সুমন