মুক্তিযোদ্ধাদের বয়স নিয়ে গেজেট কেন অবৈধ নয় : হাইকোর্ট
এস এম নূর মোহাম্মদ : মুক্তিযোদ্ধাদের নতুন করে অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ তারিখে নূন্যতম ১৩ বছর হতে হবে শর্ত দিয়ে সরকারের জারি করা গেজেট কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার বিচারপতি কাজী রেজাউল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের সচিব, জনপ্রশাসন সচিব, কম্পট্রোলার ও অডিটর জেনারেল এবং জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের মহাপরিচালকসহ ৮ জনকে ৪ সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
ওই রিট আবেদনটি দায়ের করেন উপ-হিসাব মহানিয়ন্ত্রক (পদ্ধতি) খন্দকার সহিদুল ইসলাম। বর্তমানে তিনি রাষ্ট্রপতি কার্যালয়ের প্রধান হিসাব কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত। তাকে দেওয়া এক চিঠিতে বলা হয়, দাবির স্বপক্ষে কাগজপত্রের সত্যতা না পাওয়ায় মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আপনাকে প্রত্যয়ন করা যায়নি। পরে এ চিঠির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন সহিদুল ইসলাম।
আবেদনে বলা হয়, ভারতীয় তালিকায় এবং লাল মুক্তি বার্তায় মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তার নাম রয়েছে। ১৯৮১ সালের ২৩ মার্চ মুক্তিযোদ্ধা কোটায় অডিটর পদে চাকরিতে নিয়োগও দেওয়া হয় তাকে। গত বছরের ১০ নভেম্বর ‘মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞা ও বয়স নির্ধারণ’ করে গেজেট জারি করে সরকার। ওই গেজেটে বলা হয়, ‘মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে নতুনভাবে অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ তারিখে বয়স নূন্যতম ১৩ বছর হতে হবে।’ সম্পাদনা : মোহাম্মদ রকিব হোসেন