আরব লীগের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান হিজবুল্লাদের
ইমরুল শাহেদ : লেবাননের হিজবুল্লা নেতা হাসান নাসরুল্লা আরব পররাষ্ট্র মন্ত্রীদের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন। তাদের অভিযোগে বলা হয়েছে, হিজবুল্লারা ইয়েমেন বিদ্রোহীদের অস্ত্র সরবরাহ করে সহায়তা দিচ্ছে। সোমবার বৈরুতের টেলিভিশনে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি আরব লীগের বৈঠকটিকে হাস্যকর বলে উল্লেখ করেছেন। উল্লেখ্য, শিয়া গ্রুপ হিজবুল্লাদের প্রতিনিধিত্ব রয়েছে লেবানন পার্লামেন্টে। তাদের শক্তিশালী একটি সামরিক শাখা রয়েছে। ২০০৬ সালের ১২ জুলাই থেকে ১৪ আগস্ট পর্যন্ত হিজবুল্লা-ইসরায়েল যুদ্ধে সেটা প্রমাণিতও হয়েছে। এই যুদ্ধে প্রথমবারের মতো মধ্যপ্রাচ্য যুদ্ধে ইসরায়েল পরাজিত হয় এবং মধ্যপ্রাচ্যে শক্তিসাম্যের সৃষ্টি হয়।
মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত আরব পররাষ্ট্র মন্ত্রীদের বৈঠকের উপসংহার হিসেবে যে প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে তার একটি প্যারাতে উল্লেখ করা হয়েছে, হিজবুল্লারা আরব রাষ্ট্রগুলোর সন্ত্রাসীদের অস্ত্র ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে সহায়তা করছে।’ নাসরুল্লা বলেছেন এমন কোনো প্রমাণ কারো কাছে নেই।
সৌদি আরব হিজবুল্লাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেছে, সৌদির রাজধানী রিয়াদের বাইরে কিং খালেদ আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে ৪ নভেম্বর ইরান সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীরা যে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে তার নেপথ্যে হিজবুল্লাদের হাত রয়েছে। কিন্তু নাসরুল্লা বলেছেন, হিজবুল্লাদের কাছে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নেই। তিনি বলেন, ‘আমরা ইয়েমেন, বাহরাইন, কুয়েত এবং ইরাক বা কোনো আরব দেশেই ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, অস্ত্র বা এ্যাডভান্সড সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ করিনি।’ তবে তিনি জানান, হিজবুল্লারা শুধু ফিলিস্তিন ও সিরিয়ায় অস্ত্র সরবরাহ করেছে। মধ্যপ্রাচ্য রাজনীতি এখন সৌদি আরব, ইরান, সিরিয়া এবং লেবানন নিয়েই আবর্তিত হচ্ছে। ইরান ও হিজবুল্লাদের মিত্রতাকে সুনজরে দেখছে না সৌদি আরব। সংকট আরও ঘনীভূত হয় যখন লেবাননের প্রধানমন্ত্রী সাদ হারিরি রিয়াদে বসেই তার পদত্যাগের ঘোষণা দেন। তার মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগেই ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা সৌদি রাজধানীর কাছে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। সৌদি মিত্র সুন্নী রাজনীতিবিদ হারিরি পদত্যাগের সময় ইরানকেই দোষারোপ করেছেন। তিনি তার জীবনের উপর হামলার হুমকি নিয়েই পদত্যাগ করেছেন বলে উল্লেখ করেন। কিন্তু তার পিতা রফিক হারিরি যখন নিহত হন তখন তিনি লেবাননের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন না। সূত্র : আল-জাজিরা