নিউমোনিয়া আক্রান্ত শিশুর শ্বাস প্রশ্বাস মাপবে ‘ইলেকট্রোড প্যাড’ : ড. সিদ্দিক-ই-রাব্বানি
এ জেড ভূঁইয়া আনাস : নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশুদের শ্বাস-প্রশ্বাসের হিসাব নিতে হয়। শিশুদের শরীরে নানা যন্ত্রপাতি দিয়ে পরীক্ষা চলে। যন্ত্র দেখে ওরা ভয় পায়, কাঁদে, বেঁকে বসে। ফলে অনেক সময় শ্বাস-প্রশ্বাসের প্রকৃত চিত্র পাওয়া যায় না। আর দেশীয় পদ্ধতিতে আবিষ্কৃত হয়েছে স্বয়ংক্রিয় শ্বাস-প্রশ্বাসযন্ত্র। টিভিএনএ‘কে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এসব তথ্য জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমেডিকেল ফিজিক্স এন্ড টেকনোলজি বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ড. সিদ্দিক-ই- রাব্বানি।
ফোকাসড ইমপিড্যান্স মেথড সম্পর্কে ড. রাব্বানি বলেন, তাতে আছে ‘ইলেকট্রোড প্যাড’ (অনেকটা রক্তচাপ মাপার মতো প্যাড)। এটা শিশুর মায়ের হাতে লাগিয়ে দিয়ে কম্পিউটারের সঙ্গে যুক্ত করে বুক বা পিঠ স্পর্শ করলে কম্পিউটারে ফুটে ওঠে ফুসফুসের পরিবর্তনের গ্রাফ। এর নাম দেওয়া হয়েছে ফোকাসড ইমপিড্যান্স মেথড’ (এফআইএম)। শরীরের ভেতর খুব সামান্য বিদ্যুৎ প্রবাহিত করে কাক্সিক্ষত তথ্য বের করাই যার মূল সূত্র। এই ডিভাইসটি দিয়ে শ্বাস-প্রশ্বাস পরিমাপ করলে কোন ধরণের ভুল হওয়ার সম্ভবনা থাকে না। ফলে নিউমোনিয়া আক্রান্ত শিশুদের উপর ঔষধের ভুল প্রয়োগ হবে না বলে আমি মনে করি। এই ডিভাইসটিকে আরো আধুনিকায়নের কাজ চলছে খুব দ্রুতই তা সম্পন্ন হবে বলে জানান ড. সিদ্দিক-ই-রাব্বানি।
তিনি জানান, সূর্যের আলো ও তাপ ব্যবহার করে বৃষ্টির পানিকে জীবাণুমুক্ত করার সহজ কৌশলও আবিষ্কার করা হয়েছে। ‘সোলার ওয়াটার পাস্তুরাইজেশন’ পদ্ধতিতে মাত্র দুই ঘণ্টা তাপ দিয়ে ১০-১২ লিটার পানি জীবাণুমুক্ত করা যায়। এ সম্পর্কে ড. সিদ্দিক-ই-রাব্বানি বলেন, মাত্র ৬০ ডিগ্রি তাপমাত্রার মাধ্যমেই পানিকে জীবানু মুক্ত করা সম্ভব। এই ধারণা উপর ভিত্তি করেই পলিথিন ব্যাগ, বাঁশের ডাল, ককসিটসহ সাধারণ জিনিসপত্র একটি যন্ত্র তৈরি করলাম যার মাধ্যমে পানি ৭০-৮০ ডিগ্রি গরম হয়ে যাচ্ছে। পরে পরীক্ষা করে দেখা গেছে পানি জীবানুমুক্ত হয়ে যাচ্ছে। সম্পাদনা : ইয়াছির আরাফাত