মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সশস্ত্র বাহিনী দিবস পালনে উজ্জীবিত করে : পরিকল্পনামন্ত্রী
সাইদ রিপন : পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সশস্ত্র বাহিনী দিবস পালনে উজ্জীবিত করে। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী সম্মিলিতভাবে পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে এ দেশকে স্বাধীন করেছে। যুদ্ধের পর ১৯৮০ সালে ২১ নভেম্বর সশস্ত্র বাহিনী দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত হয়। গতকাল সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে কুমিল্লা সেনানিবাসে আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিল এদেশের মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি, এ দেশ বিশ্ব মানচিত্রে মাথা উচু করে দাঁড়াবে। সারা বিশ্বের মানুষ বাংলাদেশকে দেখে ঈর্ষা করবে, অনুকরণ করবে। জাতির পিতার এ স্বপ্ন বাস্তবায়নে তার উত্তরাধিকারী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর পেশাদারিত্ব, কর্মদক্ষতার পরিচিতি দেশের সীমা ছাড়িয়ে এখন আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধু ঐতিহাসিক ভাষণে বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতার দিক নির্দেশনা দিয়েছিলেন। মহান নেতার এ ঐতিহাসিক ভাষণ স্বাধীনতা অর্জনে সমগ্র জাতিকে উদ্বুদ্ধ করে বীরের জাতিতে রূপান্তরিত করে। তারই দিক নির্দেশনায় মুক্তিযোদ্ধারা বীর বাহিনী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে এবং মুক্তিযুদ্ধের মাঝেই আমাদের সেনাবাহিনী তথা সশস্ত্র বাহিনীর জন্ম হয়। তিনি বলেন, মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে এদেশের আপামর মুক্তিকামী জনতার সাথে একত্র হয়ে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যবৃন্দ সম্মিলিতভাবে মৃত্যুর শপথে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। দেশের স্বাধীনতা অর্জন ও বাঙালি জাতির অস্তিত্ব রক্ষার্থে সশস্ত্র বাহিনীর ভূমিকা অনস্বীকার্য। সম্পাদনা : মোহাম্মদ রকিব হোসেন